নির্বাচনের মহড়া শুরু মোহনবাগানে

শুক্রবার সারা দিন যে উত্তেজনা ছিল, শনিবার বিকেলে মোহনবাগান তাঁবুতে তার কোনও রেশ ছিল না। কোনও কর্তাই আসেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৮ ০৯:০১
Share:

সমঝোতা না, সরাসরি নির্বাচন যুদ্ধ! মোহনবাগানে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে পদত্যাগী ক্লাব প্রেসিডেন্ট টুটু বসুর দেওয়া প্রস্তাব সচিব অঞ্জন মিত্র মানবেন কি না তার উপর। জানা গিয়েছে, আজ রবিবার বা কাল সোমবার ক্লাবের দুই শীর্ষ কর্তা আলোচনায় বসতে পারেন। সেখানে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি দিপান্দা ডিকা, শিল্টন পালদের বকেয়া টাকার কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে খবর।

Advertisement

শুক্রবার সারা দিন যে উত্তেজনা ছিল, শনিবার বিকেলে মোহনবাগান তাঁবুতে তার কোনও রেশ ছিল না। কোনও কর্তাই আসেননি। ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ পদত্যাগীরা দল বেঁধে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের বাড়িতে। দল গঠনের সময় সচিবের অসহযোগিতার কথা জানাতে।

উল্টো দিকে সচিব অঞ্জন ব্যস্ত ছিলেন পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে। তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর বাড়ি থেকে বলা হয় উনি বাড়িতে নেই। সচিব ঘনিষ্ঠ এক কর্তা দাবি করলেন, ‘‘পাঁচ জনের নতুন কমিটি এক কোটি টাকা তুলছে। বাকিটাও জোগাড়ের চেষ্টা করছেন সচিব।’’ জানা গিয়েছে, ফুটবলারদের বকেয়া মাইনের দেড় কোটির পাশাপাশি গত বছরের ফুটবলারদের উৎসের কর (টিডিএস) হিসাবে কেটে নেওয়া প্রায় পঁচাত্তর লাখ টাকা সরকারের ঘরে জমা পড়েনি। যা দিতে না পারলে মোহনবাগান এএফসির ছাড়পত্র পাবে না। বিপদেও পড়বে। নির্বাচনের চেয়েও যা গুরুত্বপূর্ণ এখন। এর বাইরেও বিমানের টিকিট কেটে দেয় যে সংস্থা তারা পাবে ষাট লাখ টাকা।

Advertisement

বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৭ মে। এখন প্রক্রিয়া শুরু করলেও সেপ্টেম্বরের আগে নির্বাচন হওয়া কঠিন। নিয়মানুযায়ী কর্মসমিতির সভা ডেকে প্রথমে হিসাব পেশ করে তা পাশ করাতে হবে। এর একুশ দিন পর সদস্যদের সাধারণ সভা ডেকে তা পাশ করাতে হবে। এর পর আবার কর্মসমিতির সভা ডেকে পাঁচ জনের নির্বাচন পরিচালন কমিটি তৈরি হবে। ওই কমিটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। বকেয়া সদস্য চাঁদা জমা হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। সেটা ক্লাব তাঁবুতে লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে ছয় বা সাত দিন। এর পর ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিটি। তারপরই মনোনয়ন পত্র জমা শুরু হবে।

এ বছর আই লিগ খেললেও পরের মরসুমে আইএসএল খেলার সম্ভবনা রয়েছে মোহনবাগানের। সেই সময় নিজেদের হাতে ফুটবল দলের রাশ নেওয়ার জন্যই মরিয়া যুযুধান দু’পক্ষই। ক্লাব সচিব ও দীর্ঘ দিনের বন্ধু অঞ্জন মিত্র না, পদত্যাগী সহ সচিব ও ছেলে সৃঞ্জয় বসু, কার পাশে প্রেসিডেন্ট টুটু ঝোঁকেন সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন