নেরক ম্যাচের আগে ক্রোমাকে বিশেষ টিপস খালিদের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
নেরোকার বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচে মাঠে নামার আগে বুধবার দলের প্রায় সকলকে নিয়েই অনুশীলন সারলেন খালিদ।যদিও অনুশীলনে অভিনবত্ব বিশেষ কিছুই ছিল না। মুখে না বললেও সকলের শরীরী ভাষা থেকেই তা স্পষ্ট। লিগ জয়ের ক্ষীণ আশা থাকলেও তা যে কার্যত অসম্ভব তা মেনে নিয়েছেন প্রত্যেকেই। সম্ভাবনা কম থাকলেও এ দিন হাতে গোনা কিছু সমর্থক ভিড় জমিয়েছিলেন প্রিয় দলের অনুশীলন দেখতে।
সমর্থকরা রূঢ় বাস্তবকে স্বীকার করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিলেও যে এক চিলতে আশা আছে তাকে আঁকড়েই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে খালিদ জামিলের ইস্টবেঙ্গল।
নেরোকার বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচে মাঠে নামার আগে বুধবার দলের প্রায় সকলকে নিয়েই অনুশীলন সারলেন খালিদ।যদিও অনুশীলনে অভিনবত্ব বিশেষ কিছুই ছিল না।এ দিন ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে অনুপস্থিতি ছিলেন অনূর্ধ্ব-২২ ফুটবলার মেহতাব সিংহ। এই মেহতাবের ফাউলেই পেনাল্টি পায় লাজং। শুধু মেহতাবই নন, লিগের গুরুত্বুপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে খালিদের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য-ও।
লিগের গুরুতিবপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে খালিদের ক্লাসে বিশেষ অনুশীলন ডুডু-আল আমনাদের।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনার পর্যায়ে যায়নি ম্যান সিটি, বলছেন পেপ
আরও পড়ুন: শেষ দিনে ভাগ্য নির্ধারণ, অভিনব খেতাবি লড়াই আই লিগে
মেহতাব সিংহকে ছাড়াই খালিদ এ দিন নেরকা বধের ঘুঁটি সাজালেন নিজের পরিচিত ছন্দে। পজিশানিং ফুটবল থেকে প্লেসিং ফুটবল সবই ছিল খালিদের অনুশীলনে।দফায় দফায় ছিল সেটপিস প্র্যাক্টিসের বহরও। মূলত কর্নার প্র্যাক্টিসের উপরই বেশি জোর দেন খালিদ। মাঠের দুই প্রান্ত থেকে কাটসুমির তোলা কর্ণারকে গোলে পাঠানোর মহড়ায় কখনও ডুডু আবার কখনও ক্রোমা।
শুধু পজিশানিং বা সেটপিস প্র্যাক্টিসই নয়, এ দিন অর্ধেক মাঠে চলে ম্যাচ প্রাক্টিসের মহড়াও। বিপক্ষ রক্ষণকে কী ভাবে ভেদ করে তুলে নিতে হবে গোল, তা এ দিন বারবার হাতে ধরে বুঝিয়ে দেন খালিদ। অন্য দিকে, খালিদ যখন ব্যস্ত ফুটবলারদের নিয়ে, তখন মাঠর অপর প্রান্তে গোলকিপারদের নিয়ে পড়ে থাকলেন লাল-হলুদের গোলরক্ষক কোচ। দিব্যেন্দু সরকার, লুই ব্যারেটো, উবেদদের নিয়ে চলল গোল কিপিং প্র্যাক্টিসও।
মহারণে নামার আগে বন্ধুত্বের করমর্দন গুরবিন্দর সিংহ এবং গৌরমাঙ্গি সিংহের।
এ দিন অনুশীলন শেষে লাল-হলুদ মাঝমাঠের মূল কাণ্ডারী আল আমনা বলেন, “লিগের শেষ ম্যাচে আগামীকাল খেলতে নামব আমরা। জয় ছাড়া কোনও রাস্তাই নেই। অপর দু’টি ম্যাচ একই সময় চললেও আমাদের মন থাকবে নিজেদের খেলায়। নিজের কাজটা ভাল মতো সম্পূর্ণ করাই এখনও মূল লক্ষ্য। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আশা করি ভাল কিছুই হবে।”
মাঠ ছাড়ার আগে লাল-হলুদ রক্ষণের মূল স্তম্ভ এডু বলেন, “গত ম্যাচে কী হয়েছে তা নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই। সামনের ম্যাচেই শেষ সুযোগ। লিগ জয়ের জন্য এখনও অনেক হিসেবের উপর নির্ভর করতে হবে ঠিকই তবে, আমরা নিজেদের ম্যাচটা জিততে চাই। আশা এখনও ছাড়িনি। ভগবান সাহসীদের সঙ্গেই থাকে।”
খেতাবি দৌড়ে থাকলেও বাড়তি চাপ নিতে নারাজ নেরকা ফুটবলাররা।
অন্য দিকে, লাল-হলুদ শিবির যখন নেরকা বধের মহড়ায় ব্যাস্ত, তখন খোলা মনে শেষ ম্যাচ খেলার কথা নেরকা কোচ গিফট রাইখানের গলায়। অনুশীলন শেষে রাইখান বলেন, “আমাদের উপর কোনও চাপ নেই। খেলাটাকে উপভোগ করতে চাই। ফলা যা হবে তা পড়ে দেখা যাবে। তবে মাঠের মধ্যে আমরা খোলা মনেই খেলতে চাই।”
ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।