মায়াঙ্কদের উত্তরসূরি হওয়া লক্ষ্য প্রিয়ঙ্কের

শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলা বনাম গুজরাত ম্যাচে দু’দলের দুই ওপেনার তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৪০
Share:

সাবধানি: বাংলা দলকে সমীহ করছেন প্রিয়ঙ্ক। ফাইল চিত্র

অভিমন্যু ঈশ্বরন বনাম প্রিয়ঙ্ক পঞ্চাল। ভারতীয় টেস্ট দলের তৃতীয় ওপেনারের জায়গা নিয়ে তাঁদের লড়াই। রোহিত শর্মা ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সাফল্যে ঢাকা পড়ে গিয়েছে তাঁদের দ্বৈরথ। কিন্তু নিউজ়িল্যান্ড সফরেই আসল পরীক্ষা রোহিত-মায়াঙ্ক জুটির। তার উপরে অনেকটা নির্ভর করছে ঈশ্বরন, পঞ্চালেরও ভবিষ্যৎ।

Advertisement

শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলা বনাম গুজরাত ম্যাচে দু’দলের দুই ওপেনার তাঁরা। চলতি রঞ্জি ট্রফির পারফরম্যান্সই ভারতীয় ওপেনারের লড়াইয়ে উঠে আসার সুযোগ দিয়েছে তাঁদের। কিন্তু মাঠের দ্বৈরথ বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে পারেনি। প্রিয়ঙ্ক নেটে ঢোকার আগে বাংলা শিবির থেকে আওয়াজ এল, ‘‘ওয়ে প্রিয়ঙ্ক, দেখকে খেলনা।’’ বাংলা অধিনায়কের সতর্কবার্তা শুনে প্রিয়ঙ্কের উত্তর, ‘‘ম্যাচ মে দেখুঙ্গা।’’

তাঁদের মন্তব্য কখনওই দ্বৈরথের ইঙ্গিত দেবে না। প্রিয়ঙ্ক নিজেও ঈশ্বরনকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন না। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে একাধিক ম্যাচে বড় জুটি গড়ার পরে তাঁরা এখন বন্ধু। কিন্তু ভারতীয় দলের তৃতীয় ওপেনারের লড়াইয়ে থাকতে তিনি উপভোগ করেন। বুধবার ইডেনে অনুশীলন শেষে প্রিয়ঙ্ক বললেন, ‘‘রোহিত-মায়াঙ্কের পরেই যে আমাকে আলোচনায় রাখা হচ্ছে, সেটা উপভোগই করি। রঞ্জি ট্রফি এবং বাকি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিয়মিত রান করার ফলই পাচ্ছি। নতুন বছরেও সেই ছন্দ বজায় রাখতে চাই।’’

Advertisement

২০১৬-১৭ মরসুমে গুজরাত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৩১০ রান করে রঞ্জির রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন তিনি। এ বার প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৯০ করে আউট হয়েছেন। রান পাননি দ্বিতীয় ম্যাচে। তাই বাংলার বিরুদ্ধে রান করার জন্য তিনি মরিয়া। প্রিয়ঙ্কের কথায়, ‘‘ইডেনের পিচে গতি ও বাউন্স থাকবে। বিপক্ষে ঈশান পোড়েলের মতো তরুণ প্রতিভাও রয়েছে। চেষ্টা করব শুরুর দিকটা ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলার। ইডেনের পিচে ইনিংস তৈরি করতে সময় লাগে।’’

গুজরাতও শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছে। সদ্য চেন্নাই সুপার কিংসে যাওয়া পীযূষ চাওলা রয়েছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন সদস্য ইডেনের উইকেটের সঙ্গে ভাল ভাবে পরিচিত। রয়েছেন অক্ষর পটেল। বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি সফল। পেস বিভাগের নেতৃত্বে ডান হাতি পেসার চিন্তন গাজা ও বাঁ-হাতি রুশ কলরিয়া। প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতে কলকাতায় খেলতে এসেছে গুজরাত। প্রিয়ঙ্ক বলছিলেন, ‘‘দু’টি ম্যাচ জিতে আসার সুবিধা তো রয়েইছে। কিন্তু ম্যাচের দিনের পারফরম্যান্সের উপরে নির্ভর করে দলের ফল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন