প্র্যাকটিসে মগ্ন গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা দল।
ভারতীয় স্পিন আক্রমণকে সামলানোর জন্য মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন রাস্তা নিয়েছে। সেটা হল, নেটে পাঁচ জন রিস্টস্পিনার এনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং
প্র্যাক্টিস করা।
আজ, বুধবার কেপ টাউনে ওয়ান ডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজে ইতিমধ্যেই ২-০ এগিয়ে আছে ভারত। পরিস্থিতি যা, তাতে কেপ টাউনে ভারত ৩-০ এগিয়ে না গেলেই সেটা অঘটন হবে। একে তো যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদবের রিস্টস্পিনের সামনে রীতিমতো অসহায় দেখাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। তার ওপর চোটের জন্য দলের বাইরে এ বি ডিভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডুপ্লেসি এবং কুইন্টন ডিকক। এই অবস্থায় ভারতীয় স্পিনারদের সামলাতে নেটে রিস্টস্পিনার নিয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার টিম ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু ঘটনা হল, সেই রিস্টস্পিনারদের খেলে কতটা প্র্যাক্টিস হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের? এমনিতে কুইন্টন ডিকক না থাকা মানে অধিনায়ক আইডেন মার্করামকে ওপেনে উঠে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে মিডল অর্ডার আরও কমজোরী হয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার। একমাত্র জে পি ডুমিনি ছাড়া আর কোনও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান নেই। ডেভিড মিলার তো কুলদীপ বা চহালের বলই বুঝতে পারছেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ ডেল বেঙ্কেনস্টেইন এর আগে বলেছিলেন, ভারতীয় স্পিনাররা এতটা স্লো বল করছেন, যে তাঁদের ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। ফ্লাইটেড স্লো বলে যে রকম টার্ন পাওয়া যাচ্ছে, সে রকমই ব্যাটসম্যানরা শট খেলতে গিয়ে মিসটাইম করে বসছেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্র্যাক্টিসে নেট স্পিনারদের বলের গতি হেরফের করতেও দেখা গেল। যে সব বলে স্ট্রোক খেলার চেষ্টা করেছেন ব্যাটসম্যানরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়েই শুধু অনভিজ্ঞতার ছাপ নেই, তাঁদের অধিনায়কও একই সমস্যায় আক্রান্ত। দলের বাকি ক্রিকেটারদের মিলিত ওয়ান ডে সংখ্যা যেখানে ৮০৩, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন অধিনায়ক মার্করাম খেলেছেন মাত্র দু’টো ম্যাচ। যার মধ্যে একটি অধিনায়ক হিসেবে। এই অবস্থায় নেট প্র্যাক্টিসে রিস্টস্পিনার এনে তার ফায়দা দক্ষিণ আফ্রিকা তুলতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।