পুল্লেলা গোপীচন্দ বলে দিলেন, ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে মহামূল্যবান দুই হিরের টুকরোর নাম সাইনা নেহওয়াল ও পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু। ঘটনাচক্রে দু’জনই তাঁর শিষ্য। আর সিন্ধু ও সাইনা পরস্পরকে নিয়ে যা বললেন তাও বেশ আকর্ষণীয়।
শনিবার দেশের রাজধানীতে এই তিন জনকেই এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দিল জাতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থা। সেখানে সাইনা মুখ খুললেন সিন্ধু প্রসঙ্গে। তাঁর কথা, ‘‘সিন্ধুর বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। ও আমার কাছে আর পাঁচ জন প্রতিপক্ষের মতোই। প্রতিপক্ষদের কারও কারও বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কারও কারও বিরুদ্ধে করি না। কিন্তু কেন এমন হয় জানি না।’’
পাশাপাশি সাইনার সঙ্গে তাঁর বহু আলোচিত লড়াই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সিন্ধুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সব সময়ই আমাদের লড়াই চলছে। এটা কিন্তু খুবই ভাল ব্যাপার। ইতিবাচকও। তাই কোর্টে সব সময় সাইনাকে হারাতে চাই। যেমন ও আমাকে হারাতে চায়। কিন্তু লড়াইটা শুধুমাত্র কোর্টের। কোর্টের বাইরে আমরা দু’জনই খুব সাধারণ। এর বাইরে ট্রেনিংয়ে আমাদের দু’জনের সূচিও সব সময় আলাদা থাকে।’’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের দুই ছাত্রীকে নিয়ে গোপীর কথা, ‘‘ওদের কোচ হিসেবে বলতে পারি যে দু’জনই আমার কাছে হিরের টুকরোর মতো। হায়দরাবাদের অ্যাকাডেমিতে প্রতিদনিই হারজিতের ঘটনা ঘটে। এই ধরনের লড়াইয়ে জয়ী উৎসাহিত হয়। পরাজিত যে তার মনে আরও উন্নতি করার জেদ তৈরি হয়।’’
দুই ছাত্রীর প্রতি তিনি যে একই রকম কঠোর সে কথাও বলতে ভোলেননি গোপী, ‘‘প্রতিযোগিতা চলাকালীন খেলোয়াড়দের মোবাইল ফোন নিয়ে নিই। সিন্ধু, সাইনারও। ঘরে গিরে ল্যাপটপও পরীক্ষা করে আসি। ওদের রেফ্রিজারেটরও দেখতে হয়। কেউ চকোলেট লুকিয়ে রেখেছে কিনা জানতে। আসলে ওদের সাফল্যই আমার একমাত্র কামনা। স্বপ্ন দেখি ওরা অলিম্পিক্স থেকে সোনাও জিতছে।’’
সাইনা, সিন্ধু— তাঁর দুই ছাত্রীই সোনা না জিতলেও অলিম্পিক্সে পদক জিতেছেন। সাইনা ব্রোঞ্জ। সিন্ধু রুপো। আপাতত দু’জনেরই লক্ষ্য জাকার্তা এশিয়ান গেমসে পদক জেতা। সাইনা বলেছেন, ‘‘কমনওয়েলথের থেকে এশিয়াড অনেক বেশি কঠিন। বলতে গেলে অলিম্পিক্সের মানের প্রতিযোগিতা। তবে আমরা দু’জনই ভাল খেলছি। এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসীও আমরা। তবে এশিয়াডে সূচির উপরও অনেক কিছু নির্ভর করবে।’’ সিন্ধুর মন্তব্য, ‘‘অবশ্যই এশিয়ান গেমস এখন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’