সতীর্থদের সঙ্গে কৃতিত্ব ভাগ করে নিতে চান অশ্বিন

শুক্রবার দিনের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যেমন আর অশ্বিন বললেন, ‘‘লড়াইটা এখন সমানে সমানে। এই জায়গা থেকে যারা ছন্দ বজায় রাখতে পারবে, তারাই এই টেস্টে এগিয়ে থাকবে। এখান থেকে যে কেউ জিততে পারে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৬
Share:

সফল: অশ্বিনের বোলিংয়ে পাল্টা চাপে অস্ট্রেলিয়া। এএফপি

অস্ট্রেলিয়াকে বাগে পেয়েও ভারতীয় দল প্রথম টেস্ট জয়ের ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয়। অ্যাডিলেডে প্রথম দিন যেখানে শেষ করেছিল ভারত, সেই ২৫০ রানেই শুক্রবার অলআউট হওয়ার পরে দ্বিতীয় দিন অনবদ্য বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছে ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া ১৯১-৭। ৫৯ রানে পিছিয়ে। হাতে মাত্র তিন উইকেট। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে ভারতের। কিন্তু উইকেটের যা অবস্থা, তাতে পরের দুই ইনিংসে কী হতে পারে, সেটা বোঝা বেশ কঠিন, বলছেন ভারতের সব চেয়ে সফল বোলার আর অশ্বিন।

Advertisement

শুক্রবার দিনের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যেমন আর অশ্বিন বললেন, ‘‘লড়াইটা এখন সমানে সমানে। এই জায়গা থেকে যারা ছন্দ বজায় রাখতে পারবে, তারাই এই টেস্টে এগিয়ে থাকবে। এখান থেকে যে কেউ জিততে পারে।’’ শুক্রবার প্রথম টেস্ট খেলা ওপেনার মার্কাস হ্যারিস, তিন নম্বর ব্যাটসম্যান উসমান খোয়াজা ও চার নম্বর শন মার্শকে আউট করেন অশ্বিন। ইশান্ত শর্মা ও যশপ্রীত বুমরা দু’টি করে উইকেট নেন।

সব চেয়ে বেশি উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে আক্রমণ করলেও অশ্বিন কৃতিত্বটা ভাগাভাগি করে নিতে চাইছেন সতীর্থ বোলারদের সঙ্গে। বলেন, ‘‘জোরে বোলার বা স্পিন বোলারদের সাফল্য আলাদা করে দেখবেন না, এটা আমাদের পুরো বোলিং বিভাগের কৃতিত্ব। কারণ, একে অপরের সাহায্য ছাড়া কেউ কিছু করতে পারে না। আজ আমরা যা করেছি, সবই কার্যকরী হয়েছে। চায়ের বিরতির আগে ও পরে টানা ২২ ওভারের একটা স্পেল করি যাতে ওদের রান আটকানো যায়।’’

Advertisement

উইকেটের অবস্থা নিয়ে অশ্বিন বলছেন, ‘‘গতি ক্রমশ কমে আসছে। আরও কমতে থাকবে। তবে এর পরে উইকেট কেমন হতে চলেছে, তা বলতে পারব না। কারণ, এটা বাইরে থেকে তৈরি করে আনা পিচ। গত বার (২০১৪) যেমন ফুটমার্কগুলো ক্রমশ চওড়া হয়ে উঠেছিল, এ বার ঘাস থাকায় ততটা চওড়া হয়নি এখনও। এই পিচে কিছু করতে হলে সেটা চতুর্থ বা পঞ্চম দিনেই করা যাবে। বল কতটা গ্রিপ করবে, সেটাই দেখার। অ্যাডিলেডে বল সাধারণত ঘুরলেও এ বার ঘাস আছে বলে অতটা ঘুরছে না।’’

এই নিয়ে তৃতীয় অস্ট্রেলিয়া সফর তাঁর। এ বার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগছে বলে জানালেন অশ্বিন। বলেন, ‘‘প্রথম যখন এখানে আসি, ২০১১-য়, তখন মাইকেল ক্লার্ক আমাকে খুব বেগ দিয়েছিল। সেই শিক্ষা নিয়ে গত বার অনেক ভাল খেলেছিলাম। ওই সময় থেকেই বোলার হিসেবে আমার ক্রিকেট জীবনের মোড় ঘোরা শুরু। তাই এ বার অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে এসেছি আমি।’’

শামিকে নিয়ে উদ্বেগ: অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শুরু হওয়ার কিছু পরে এ দিন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। তাঁকে দেখা যায় ডান কাঁধে হাত রেখে বেরোতে। এরপরই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। আগের দিন ব্যাট করার সময় ডান কাঁধে বল লাগে শামির। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই ফের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে অবশ্য শামি ফিরে এসে বল করেন। কিন্তু কোনও উইকেট পাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement