বোল্টের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন আঁকড়ে এগোচ্ছেন রামেশ্বর

ভিডিয়ো দেখে মধ্যপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী জিতু পটওয়ারিও গত সপ্তাহে রামেশ্বরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভোপালে। শনিবার ভোপালে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রামেশ্বর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০৫:১৭
Share:

চর্চায়: ১১ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে নজরে এখন রামেশ্বর। টুইটার

১১ সেকেন্ডে একশো মিটার দৌড়নো স্প্রিন্টার রামেশ্বর গুর্জর ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ পেলে ইউসেইন বোল্টের বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে চান। ১৯ বছর বয়সি রামেশ্বর থাকেন মধ্যপ্রদেশে। তাঁর ভিডিয়ো গত সপ্তাহে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কৃষক পরিবারের ছেলে রামেশ্বরকে ভিডিয়োতে খালি পায়ে দৌড়তে দেখা গিয়েছিল। যে ভিডিয়ো শুক্রবার পোস্ট করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে অনুরোধ করেছিলেন এই অনামী অ্যাথলিটকে সাহায্য করার। ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন।

Advertisement

এই ভিডিয়ো দেখে মধ্যপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী জিতু পটওয়ারিও গত সপ্তাহে রামেশ্বরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভোপালে। শনিবার ভোপালে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রামেশ্বর। পরে সাংবাদিকদের রামেশ্বর বলেন, ‘‘ইউসেইন বোল্ট বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে। ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ ও সুযোগসুবিধা পেলে আশা করছি এই রেকর্ড ভাঙতে পারব।’’ তিনি আরও বলেছেন গত ছ’মাস ধরে ১০০ মিটার দৌড় অনুশীলন করছেন। তার আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন রামেশ্বর। কিন্তু সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য নূনতম যে উচ্চতা চাওয়া হয়েছিল, তাতে আটকে যান। ‘‘আগে ১০০ মিটার দৌড়তে ১২ সেকেন্ডের একটু বেশি সময় লাগত। ছ’মাস অনুশীলন করে সেটা ১১ সেকেন্ডে নামিয়ে এনেছি,’’ বলেন রামেশ্বর। তিনি আরও জানান, ঠিকঠাক পুষ্টি জাতীয় খাবার না খেতে পারায় শারীরিক সমস্যাও সামলাতে হয়েছে তাঁকে।

ইউসেইন বোল্ট ২০০৯ সালে ১০০ মিটারে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন ৯.৫৮ সেকেন্ড দৌড়ে। ভারতের জাতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থার রেকর্ড অনুযায়ী, ভারতীয় অ্যাথলিটদের মধ্যে ১০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড রয়েছে অমিয় কুমার মালিকের। তাঁর সময় ১০.২৬।

Advertisement

একই সঙ্গে রামেশ্বর মধ্যপ্রদেশের রাজ্য স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতেও ট্রায়াল ও আরও কিছু পরীক্ষা দেবেন রামেশ্বর। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রীও রামেশ্বরকে প্রশিক্ষণ ও অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাধরদের রাজ্য অলিম্পিক্সের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে। তার পরে তাদের ক্রীড়া অ্যাকাডেমিতে সমস্ত সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে প্রতিযোগিতা আয়োজন করে প্রতিভা বেছে নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন