শনিবার অসুস্থতা যে ভাবে ভোগাল রণধাওয়াকে।
বিকেলে আরসিজিসি ছেড়ে যখন বেরোচ্ছেন, গাড়ির ভিতর থেকে থাম্বস আপ দেখিয়ে গেলেন। মুখে সারাদিন অসুস্থ শরীরের সঙ্গে লড়ে রাউন্ড শেষ করার ক্লান্তি। তখনও নিশ্চিত ছিল না, তৃতীয় রাউন্ডের শেষে ম্যাকলিয়ড রাসেল ট্রফির লড়াইয়ে এক শটে এগিয়ে থাকা জ্যোতি রণধাওয়া শেষ দিন আদৌ নামতে পারবেন কি না।
শেষে রাতে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়, গল্ফার অনেক সুস্থ এবং ‘‘শেষ রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল’’। জ্যোতি নিজেও বলেছেন, ‘‘শেষটা ভাল করতে চাই।’’ গতকালের মতো এ দিনও দারুণ শুরু করেছিলেন রণধাওয়া। জোড়া বার্ডি দিয়ে। যদিও বিকালে তাঁর দাদা বান্টি রণধাওয়া বললেন, ‘‘কাল রাতে একটা বার্গার অর্ধেক খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ব্যমি, পেটে সংক্রমণ।’’ পেটের পেশিতে টান আর ক্লান্তির কারণে বারবার গল্ফ ব্যাগে বা ঘাসে বসে বিশ্রাম নেন এ দিন। কোর্সে রণধাওয়ার সঙ্গী ও দিনের শেষে এক শটে পিছিয়ে দ্বিতীয়, বেঙ্গালুরুর খালিন জোশী বলছিলেন, ‘‘অসম্ভব কষ্ট হচ্ছিল ওর। চোদ্দো নম্বর টি-তে জ্যোতি মাটিতে শুয়ে পড়ে। খেলাই ছেড়ে দিতে চাইছিল।’’ এর পর কোর্সেই চিকিৎসক আসেন। ইলেকট্রোলাইট দিতে হয়। বাড়তি বিশ্রামের সময় দেন রেফারি। একটু চাঙ্গা রণধাওয়া রাউন্ড শেষ করেন এক-আন্ডার ৭১ স্কোরে।
তৃতীয় রাউন্ড শেষে খালিন এবং চিকারাঙ্গাপ্পা যথাক্রমে ৬৮ ও ৭০ স্কোর করে দ্বিতীয় ও তৃতীয়। পাঁচ শটে পিছিয়ে চতুর্থ গত বারের চ্যাম্পিয়ন শঙ্কর দাস। শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাসিয়া, রাহিল গাঙ্গজি ও গগনজিৎ ভুল্লাড়ও শেষ করলেন চার-আন্ডার ৬৮ স্কোরে। ছয় শটে পিছিয়ে রাহিল ও শিবশঙ্কর যুগ্ম পাঁচে। এক শট পিছনে গগনজিৎ।