৩৫৫ রানে হার বাংলার। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ দিন এসে যে লড়াই দিল বাংলা সেটা প্রথম থেকে দেখা গেলে খেলার রঙ অন্য রকমও হতে পারত। কিন্তু সেই আশা প্রথম ইনিংসেই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের ব্যর্থতা সেটা প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল। তাও দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যপ্রদেশ ৫৬০/৯ এ ম্যাচ ঘোষণা করার পর চতুর্থ দিনের শেষে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলা। অভিমন্যু ঈশ্বরন, সায়ন মণ্ডল ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায় পর পর প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ঋদ্বিমান সাহাকে নিয়ে বাংলার ইনিংসের হাল ধরেন। ১১৩/৩ এ শেষ হয় বাংলার চতুর্থ দিন।
পঞ্চম দিনের শুরুতেই ঋদ্ধিমান আউট হয়ে গেলেও একদিকে বাংলাকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক। ঈশ্বর পাণ্ডের বলে হরপ্রীত সিংহকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরার আগে ১৬০ বলে ঝকঝকে ১২৪ রানের ইনিংস খেললেন ঠিকই কিন্তু তা কাজে লাগল না। উল্টোদিকে তাঁকে ভরসা দিতে পারেননি ঋদ্ধিমানের জায়গায় ব্যাট করতে আসা শ্রীবৎস গোস্বামীও। এর পর হাল ধরেন পঙ্কজ শ। ইশ্বর পাণ্ডের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে যখন আউট হলেন ততক্ষণে পঙ্কজের ব্যাট থেকেও এসে গিয়েছে সেঞ্চুরি। ১৩৭ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলে মান বাঁচালেও হার বাঁচাতে পারল না বাংলা। অশোক দিন্দাও খেললেন ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ৪৩২ রানে সব উইকেট হারিয়ে বিদায় বাংলার। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মধ্যপ্রদেশ। ৪টি উইকেট নেন মধ্য প্রদেশের ঈশ্বর পাণ্ডে। তবে রঞ্জি শেষে বাংলার প্রাপ্তি এই শেষ দিনের লড়াই।
আরও খবর
বাংলার সামনে ৬৭৫ রানের লক্ষ্য