আমার ক্যাপ্টেন দরকারে ওপেনও করে দিতে পারে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতীয় টিম ডিরেক্টর থাকছেন, এই ঘোষণার পরে ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটকে সাক্ষাৎকার দিলেন রবি শাস্ত্রী। যা যা বললেন তিনি...টিম ডিরেক্টর হিসেবে অভিজ্ঞতা: এই চাকরিটা প্রচণ্ড তৃপ্তির। ক্রিকেটের সঙ্গে যে এত বছর নানা ভূমিকায় যুক্ত আছি, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিরেক্টর হিসেবে আরও বেশি দিন থাকতে চাই কারণ আমার দারুণ একটা টিম আছে— দারুণ ক্রিকেটার, দুর্দান্ত সাপোর্ট স্টাফ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৫৪
Share:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতীয় টিম ডিরেক্টর থাকছেন, এই ঘোষণার পরে ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটকে সাক্ষাৎকার দিলেন রবি শাস্ত্রী। যা যা বললেন তিনি...
টিম ডিরেক্টর হিসেবে অভিজ্ঞতা: এই চাকরিটা প্রচণ্ড তৃপ্তির। ক্রিকেটের সঙ্গে যে এত বছর নানা ভূমিকায় যুক্ত আছি, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিরেক্টর হিসেবে আরও বেশি দিন থাকতে চাই কারণ আমার দারুণ একটা টিম আছে— দারুণ ক্রিকেটার, দুর্দান্ত সাপোর্ট স্টাফ।
শ্রীলঙ্কায় সাফল্য: এটা রাতারাতি হয়নি, গত এক বছর ধরে সবাই প্রচুর খেটেছে। টিমের সবার ভাবনায় যখন একতা আসে, তখন তার ফলাফলও দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় কাজটা শুরু হয়েছিল। তার পর বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কায়। এটা অবশ্য টেস্টের কথা বলছি।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে কোথায় উন্নতি দরকার: ওরা বিশ্বের এক নম্বর টিম। আমাদের টানা ভাল খেলতে হবে, যাতে ওদের চাপে রাখা যায়। আমাদের খেলার ধরন পাল্টাবে না। বিপক্ষকে চাপে রাখার পর ওদের কোনও রকম ছাড় দেওয়া যাবে না। এর জন্য প্রচুর ধৈর্য দরকার, আমরা অস্ট্রেলিয়া বা শ্রীলঙ্কায় প্রথম টেস্টে যেটা দেখাতে পারিনি। তবে ধৈর্য আর শৃঙ্খলাটা আসার পর পরের দু’টেস্টেই তার ফল দেখা গিয়েছে।
ইশান্তের প্রত্যাবর্তন: বিশ্বকাপ দল থেকে ছিটকে যাওয়াটা ওর কাছে বড় ধাক্কা ছিল। কিন্তু তাতে ভালও হয়েছে ওর। বিশ্রাম পেয়েছে, প্রচুর খেটেছে, নিজের টেকনিক বুঝে ভুলত্রুটিগুলো শুধরেছে। শ্রীলঙ্কায় ও দারুণ খেলল। আর শুনে রাখুন, ভবিষ্যতেও আমরা এই ইশান্তকেই দেখব। ওর আগ্রাসন নিয়ে অনেক কথা শুনতে হচ্ছে, কিন্তু গোটা টিম ওর পাশে আছে। আমি চাই ইশান্ত আগ্রাসী হোক, আর আমি ওকে সে দিকেই ঠেলব। কিন্তু কোথায় থামতে হবে, সেটাও ওকে বলে দেব।

Advertisement

প্রসঙ্গ অশ্বিন: মহাকাশচারীদের মতো ক্ষুরধার বুদ্ধি ওর। যার সঙ্গে ও এখন ধৈর্য আর স্থৈর্য মিশিয়ে দিয়েছে। ওই মহাকাশচারীর মাথাটা এখন টিম ইন্ডিয়াকে আরও উঁচুতে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে অশ্বিনই এখন বিশ্বের সেরা অফস্পিনার। ওর বৈচিত্র দেখলে মাথা ঘুরে যাবে। সঙ্গকারার মতো জাত ব্যাটসম্যানকে পরপর চার বার যে ভাবে ক্রিজে দম বন্ধ অবস্থায় ফেলল, তাতেই বোঝা যায় যে অশ্বিন বিশ্বমানের স্পিনার।

ব্যাটিং অর্ডারে ওলটপালট: একটা ভাল টিম হিসেবে যে আমরা তৈরি হচ্ছি, এটা তার প্রথম লক্ষণ। কারও চোট লাগলেও সেটা সামাল দেওয়ার মতো লোক মজুত। একটা জিনিস সবাই বুঝে গিয়েছে যে, এই টিমে ব্যাক্তিগত স্লট বলে কিছু নেই। টিমের দরকারে ব্যাটিং অর্ডার পাল্টে যাবে। প্লেয়াররা খুব সুন্দর ভাবে সেটা মেনে নিয়েছে। সবাই ফিট হয়ে গেলেও পরিবেশ বা প্রতিপক্ষ বিচারে ব্যাটিং অর্ডারে ওঠা-নামা হবে। আমার টিমে কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, আমার এমন একজন ক্যাপ্টেন আছে যে সব কিছুতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে তৈরি। বিরাট এমন একটা ছেলে যে দরকারে ওপেন করতেও নেমে যাবে। আর সেটা ওকে কেউ বলার আগে নিজে থেকেই করে দেবে। এই ধরনের মনোভাব কিন্তু খুব ছোঁয়াচে!

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন