ফাইনালের মহড়া। সান সিরোয় রোনাল্ডোদের ট্রেনিং। -এএফপি
ফুলস্পিড রিয়াল
বার্সেলোনা আর বায়ার্ন মিউনিখের থেকে রিয়াল মাদ্রিদ কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য ধরনের মানসিকতার দল। ওদের ফুটবল-দর্শন বলুন, খেলার মডেল বলুন—গতি। বেল থেকে রোনাল্ডো। মার্সেলো থেকে বেঞ্জিমা। পাস দাও আর ছোটো। প্রতিআক্রমণে চোখের নিমেষে ডিফেন্সকে অ্যাটাকে বদলায়, এ রকম ডিরেক্ট দলের খেলা দেখার মজাই আলাদা।
জিদান-ফ্যাক্টর
জিদান দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবল খেলত। রিয়ালের মতো মেগা টিমের কোচিংয়ে এসেও সে রকমই বুদ্ধিদীপ্ত সব ট্যাকটিক্স নিচ্ছে। জিদান খুব বেশি কিছু বদলায়নি রিয়ালে। ছকটা মোটামুটি একই রেখেছে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই ছকের সামান্য অদল-বদলে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারে। এবং দিচ্ছেও। জিদানের সবচেয়ে বড় গুণ— অসামান্য ম্যাচ রিডিং।
দ্য গ্রেট ওয়াল অব আটলেটিকো
মেসি থেকে মুলার। সুয়ারেজ থেকে লেভানডস্কি। নেইমার থেকে রিবেরি। এ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোন মহাতারকা না আটকেছে এই দেওয়ালে? বারবার ধাক্কা খেয়ে ফিরে গিয়েছে? আটলেটিকো মাদ্রিদ দলটার ভিত-ই ডিফেন্স। দিয়েগো গদিন, জুয়ানফ্রানের মতো ফুটবলার ডিপ ডিফেন্সে দারুণ অভ্যস্ত। অর্থাৎ বিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানিয়েও গোলে শট মারার এতটুকু জায়গা দেবে না। পজিশন ছেড়ে বেশি ওঠে না। আবার দরকার পড়লে নো ননসেন্স খেলবে। বল পেলেই উড়িয়ে দেবে।
সিমিওনের টিমগেম
আটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনের সবচেয়ে বড় গুণ, অনামী ফুটবলারদের নিয়েও বড় ম্যাচ জিততে পারে। ৪-১-৪-১ ছকে খেলতে ভালবাসে, আবার দরকার পড়লে ফরোয়ার্ডদেরও নীচে নামিয়ে দেয়। ওর টিমের ফুটবলাররা বারবার পজিশন পাল্টাতে অভ্যস্ত। ওর হাতে তিকিতাকা-ও ধ্বংস হয়েছে!
এবং সিআর সেভেন
বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল দর্শকের মতো আমারও আজ চোখ থাকবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর উপর। গত কয়েক বছরে রোনাল্ডোকে দুর্ধর্ষ বললেও বোধহয় কম বলা হয়। হেড হোক বা ফ্রি-কিক। বাইশ গজ থেকে হোক বা ছয় গজের বক্সে। রোনাল্ডোর পায়ে বল মানেই তো বিপক্ষ গোলকিপারের মাথায় হাত আর বল সেই জালে!