নজরে: টিকিট নেই অনলাইনে তবু ভর্তি হচ্ছে না যুবভারতী। ফাইল চিত্র
স্টেডিয়ামের কাউন্টারে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। টিকিট নেই অনলাইনেও। অথচ ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি হচ্ছে না!
কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম থেকে গোয়ার ফতোরদা— সর্বত্র একই ছবি।
টিকিট যদি সব বিক্রিই হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে ম্যাচের সময় গ্যালারি ভরছে না কেন?
ফিফা কর্তাদের দাবি, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের স্পনসররা তাদের কোটার টিকিট তুলেছে। কিন্তু তা ব্যবহার করছে না। এই কারণেই গ্যালারি খালি থেকে যাচ্ছে।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য যুবভারতীর উদাহরণ দিয়ে বললেন, ‘‘এই টুর্নামেন্টের জন্য যুবভারতীর আসন সংখ্যা কমিয়ে ৬৬ হাজার ৬৬৭ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক ম্যাচেই ১৪ হাজার টিকিট দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। এ ছাড়াও পুলিশ ও স্পনসরদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।’’
রাজ্য সরকারকে টিকিট দেওয়ার রসায়নটা কী? জয় বললেন, ‘‘আমরা কী ভাবে ভুলে যাব যুবভারতীর সংস্কারের জন্য প্রায় দেড়শো কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। তাই টিকিট দেওয়া আমাদের কর্তব্য।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার অনেক আগেই সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, কত টিকিট প্রয়োজন। যদিও চাহিদার পরিমাণ চোদ্দো হাজারের অনেক বেশি ছিল।’’
প্রজেক্ট ডিরেক্টরের দাবি, স্কুলগুলোকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। বললেন, ‘‘প্রথম দু’টো ম্যাচের টিকিট ছাপতে দেরি হওয়ায় যুবভারতীতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একটু কম ছিল। জেলার বেশির ভাগ স্কুলের ছাত্রছাত্রীই আসতে পারেনি। পরের ম্যাচগুলোয় কোনও সমস্যা ছিল না।’’ তা সত্ত্বেও গ্যালারি ভরল না কেন? জয় বললেন, ‘‘সরকারের বিভিন্ন দফতর যে পরিমাণ টিকিট তুলছে, তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। এর ফলে শুধু যে স্টেডিয়ামের গ্যালারি ফাঁকা থাকছে তা নয়, সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীরাও বঞ্চিত হচ্ছেন খেলা দেখা থেকে।’’
এই পরিস্থিতিতে গ্যালারি ভর্তি করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ফিফা। সরকারি সংস্থা ও স্পনসরদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে টিকিট ফেরত দেওয়ার জন্য। রবিবার দুপুরে যুবভারতীতে সাংবাদিক বৈঠকে টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর হাভিয়ার সেপ্পি বললেন, ‘‘আমরা চাই দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে খেলা হোক। তাই আমাদের আবেদন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকিট যাঁরা নিয়েছেন ফেরত দিন। সাধারণ মানুষকে খেলা দেখার সুযোগ করে দিন।’’
ফিফার আবেদনে পরিস্থিতি কতটা বদলাবে তা অবশ্য সময়ই বলবে।