Copa Libertadores

চিরশত্রু বোকা জুনিয়র্সকে হারিয়ে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতল রিভারপ্লেট

এই নিয়ে চারবার লাতিন আমেরিকার সেরা ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে সেরার খেতাব জিতল রিভারপ্লেট। ৫৮ বছর পর ইউরোপের মাটিতে অনুষ্ঠিত হল কোপা লিবার্তাদোরেসের কোনও ম্যাচ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৩৩
Share:

কোপা লিবার্তাদোরেসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রিভারপ্লেট ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস।

দর্শক হামলায় ভেস্তে গিয়েছিল নির্ধারিত ফাইনাল। জঘন্য ফুটবল দাঙ্গার সাক্ষী থেকেছিল গোটা দুনিয়া। পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল যে, নতুন করে ফাইনাল ইউরোপীয় মুলুকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয লাতিন ফুটবলের নিয়ামক সংস্থাকে। ঠিক হয়, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে হবে কোপা লিবার্তাদোরেসের খেতাবী লড়াই।

Advertisement

সেইমতো রবিবার রাতে সান্তিযাগো বের্নাবুতে লাতিন ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ঘিরে অভাবনীয নিরাপত্তার আয়োজন দেখা গেল। স্পেনীয় পুলিসের তরফ থেকে প্রায় চার হাজার কর্মীকে নিয়োগ করা হয়। যাদের মধ্যে ২০০০ আধিকারিক। আর্জেন্টিনীয ফুটবলের দুই মহাদৈত্য রিভারপ্লেট বনাম বোকা জুনিয়র্সের সম্মুখসমর দেখতে লাতিন দেশটি থেকে মাদ্রিদে এসে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার ফুটবল অনুরাগী।

মাঠের লড়াইয়ে জয় পেল রিভারপ্লেট। গত মাসে কোপা লিবার্তাদোরেসের প্রথম দফার ফাইনাল শেষ হয়েছিল ২-২ গোলে। রবিবাসরীয় রাতে রিয়েল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে অবশ্য অন্য ছবি দেখা গেল। ডারিও বেনেডেট্টার গোলে ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে লড়াইযে ফিরল রিভারপ্লেট। আর পরপর তিনটি গোল চিরশত্রু ক্লাবের জালে জড়িয়ে ছিনিয়ে নিল ঐতিহ্যশালী এই টুর্নামেন্টের বিশাল ট্রফি। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া রিভারপ্লেট ম্যাচে সমতায় ফিরল খেলার ৬৮ মিনিটে লুকাস প্রাটোর গোলে। ৯০ মিনিটের পরও খেলার ফল ১-১। যে জন্য অতিরিক্ত সময়ে গড়াল ফাইনাল। বোকার উইলিয়াম ব্যারোস এই সময়েই লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ায় বাড়তি সুবিধা পায় রিভারপ্লেট। এর ঠিক পরেই পরপর দুটি গোল করে খেতাবজয় নিশ্চিত করে ফেলে তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: 'অশালীন' মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপের মুখে রবি শাস্ত্রী

আরও পড়ুন: ক্যাপ্টেন কোহালির অনন্য নজিরে সেরা অবদান কিন্তু পূজারার​

এই নিয়ে চারবার লাতিন আমেরিকার সেরা ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে সেরার খেতাব জিতল রিভারপ্লেট। ৫৮ বছর পর ইউরোপের মাটিতে অনুষ্ঠিত হল কোপা লিবার্তাদোরেসের কোনও ম্যাচ। এই ফাইনাল দেখতে বের্নাবুর ভিআইপি বক্সে হাজির ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো, রিযাল কর্ণধার ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, অ্যাটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে এবং স্বয়ং লিয়োনেল মেসি

বেশ কয়েক দশক ধরেই বিশ্ব ফুটবলে ইউরোপের দাপট সর্বজনবিদিত। শ্রেষ্ঠত্বের নিরিখেও লাতিন দৈত্যদের গত কয়েকটি বিশ্বকাপ আসরে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এবার দক্ষিণ আমেরিকার সেরা ক্লাব ফুটবলের ফাইনাল আয়োজন সুষ্ঠুভাবে করে ইউরোপ প্রমাণ করে দিল শুধু মাঠের যুদ্ধেই নয়, প্রশাসনিক নৈপুণ্যও তারা যোজন মাইল এগিয়ে রয়েছে।

(চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এল ক্লাসিকো, লা লিগা, ইপিএল, বুন্দেশলিগা, সিরি এ থেকে ফিফা বিশ্বকাপ - ফুটবল জগতের সব খবর আমাদের খেলা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন