রাঁচিতে আজ অলৌকিক কিছু না ঘটলে সিরিজ ৫-০ হচ্ছেই।
রবিবারও আগে ব্যাট করলে শ্রীলঙ্কাকে ফের রানের পাহাড়ের তলায় চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে ফেলবে ভারত। ইডেনে ঠিক যেটা করেছিল।
সে দিন অবশ্য অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস খেলেছিল রোহিত শর্মা। মাত্র পঞ্চাশ ওভারে কেউ ২৬৪ করছেএটা কল্পনা করাটাই তো কঠিন! ক্রিকেটে আগ বাড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব বুদ্ধির কাজ নয়। আর রেকর্ড হয় ভাঙার জন্যই। তবে আমার মনে হচ্ছে, রোহিতের এই রেকর্ডটা এমন একটা কীর্তি, যা টপকে যাওয়া ভীষণ রকমের কঠিন হবে।
রোহিতের ওই ইনিংসে কিন্তু শুধু রানটাই বড় কথা নয়। সংখ্যাতত্ত্বের বাইরে বেরিয়ে দেখলে, ইনিংসটার টাইমিংও দুর্দান্ত হয়েছে। রোহিত সদ্য চোট সারিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছে। তায় একদিনের ম্যাচে ওপেনিংয়ে অজিঙ্ক রাহানে আর শিখর ধবন রান পেতে শুরু করায় রোহিতের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে এই প্রশ্ন ওঠাও শুরু হয়েছিল যে, ওপেনিংয়ে রোহিতকে রাখা আদর্শ হবে কি না। ইডেনের পর যে আলোচনা সম্পূর্ণ বন্ধ হবেই।
অন্য দিকে, রোহিতের জন্য ইনিংসটা শুধু একটা ব্যাটিং রেকর্ড হয়ে থাকবে না, চাপ মাথায় নিয়ে ভাল পারফর্ম করার এবং ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার আত্মবিশ্বাসটা তুমুল বাড়িয়ে দেবে। আবার ভবিষ্যতে কঠিন সময়ের সামনে পড়লে এই ইনিংসটার দিকে ফিরে তাকিয়ে নিজেকে উজ্জীবিত করতে পারবে রোহিত। অনুপ্রাণিত হবে।
অস্ট্রেলিয়া সফরে একদিনের ম্যাচগুলোয় কে ওপেন করবে, তা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমার মতে সফর শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই আলোচনা মুলতুবি রাখা যায়। তার আগে ওখানে টেস্ট সিরিজে রোহিত, রাহানে, ধবন, তিন জনই খুব সম্ভবত খেলবে। ওখানকার পিচ আর আবহাওয়ায় কে সবচেয়ে ভাল মানিয়ে নিতে পারে সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ভারতের এই ব্যাটিং লাইনআপ, বিশেষ করে প্রথম চার ব্যাটসম্যান ছন্দ পেয়ে গেলে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও বোলিংকে তছনছ করে দেবে। দলটার সবচেয়ে বড় গুণ, আগে ব্যাট করুক বা রান তাড়া করুক, একই রকম আক্রমণাত্মক থেকে রান তুলতে পারে। যা থেকে স্পষ্ট, এই ফর্ম্যাটে এরা ঠিক কতটা আত্মবিশ্বাসী।
ভারতের বোলিংটাও ভাল হচ্ছে। উমেশ যাদব শুধু ভাল বলই করছে না, নিয়ম করে উইকেটও নিচ্ছে। শেষ ম্যাচে ধবল কুলকার্নিও চার উইকেট নিল। ধবলের বোলিংয়ে পেস কম থাকতে পারে, কিন্তু ওর চেষ্টার তারিফ করতেই হবে।