স্মৃতিচারণা: ছ’ বছর আগে জেতা বিশ্বকাপ হাতে সচিন। ছবি: টুইটার
ছ’বছর আগের সেই রাতের কথা দেশের কোন ক্রিকেটপ্রেমীর মনে নেই?
নুয়ান কুলশেখরার বল এমএস ধোনি লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে দিতেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কান ফাটানো গর্জন। আর তার মধ্যে কমেন্ট্রি বক্সে রবি শাস্ত্রীর গলা ফাটিয়ে চেঁচানো শেষ কথাগুলো, ‘‘ধোনি ফিনিশেজ অফ ইন স্টাইল, আ ম্যাগনিফিশেন্ট স্ট্রাইক ইনটু দ্য ক্রাউড, ইন্ডিয়া লিফট দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ আফটার টোয়েন্টি এইট ইয়ার্স।’’ কে-ই বা ভুলে গিয়েছেন? মাত্র ছ’বছরই তো হল বিশ্বকাপ জয়ের।
ভোলেননি কেউ। সে দিন ওয়াংখেড়েতে থাকা টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেট তারকারা তো নয়ই। সচিন তেন্ডুলকর থেকে গৌতম গম্ভীর— রবিবার পিছন ফিরে তাকালেন সেই দিনটার দিকে। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায়, কেউ সংবাদমাধ্যমে রোমন্থন করলেন সেই স্মৃতি।
সেই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোরারদের তালিকায় যিনি দু’নম্বরে ছিলেন, সেই সচিন তেন্ডুলকর এ দিন টুইটারে লেখেন, ‘‘আমি যেমন সবসময়ই বলি স্বপ্নকে সত্যি করার চেষ্টা করো, এক দিন না এক দিন তা সত্যি হয়ই, আমার জীবনে তেমনই এক মুহূর্ত সে দিন এসেছিল।’’
এ দিন টুইটারে ভক্তদের নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ফাঁকে ছ’বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ের প্রসঙ্গ উঠতে হরভজন সিংহ লেখেন, ‘‘ছ’বছর আগে ঘটলে কী হবে, মনে হয় যেন কালকেরই ঘটনা। আমার ক্রিকেট জীবনের সেরা মুহূর্ত। বোঝানোর মতো শব্দ নেই আমার কাছে।’’
বীরেন্দ্র সহবাগ সেই ফাইনালের কথা বলতে গিয়ে টুইট করেন, ‘‘ধোনি ম্যাচটা স্টাইলে শেষ করার পর আমাদের দলের সবার স্বপ্ন সত্যি হয়। এই প্রজন্মের কাছে সেরা স্মৃতি।’’
রবিচন্দ্রনও ছিলেন সেই দলে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘শেষ কয়েকটা মুহূর্ত এখনও মনের মধ্যে তাজা রয়েছে। কি রাত ছিল একটা।’’
জয়ের পর ধোনির সঙ্গে একই জাতীয় পতাকায় মুড়ে থাকা তাঁর ছবি পোস্ট করে বিরাট কোহালি তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আমাদের জীবনে সে কি দিন। যা আমি কখনও ভুলতে পারব না। ২.৪.২০১১ তারিখটা আমার আর প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে খোদাই হয়ে আছে। জয় হিন্দ।’’
২৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ওপেনার সচিন ও সহবাগরা আউট হয়ে যাওয়ায় শুরুতেই যে ধাক্কা খেয়েছিল ভারত, তা প্রথমে কোহালির সঙ্গে সামলেছিলেন গৌতম গম্ভীর। ৮৩ রানের পার্টনারশিপ খেলে। গম্ভীর এ দিন কেকেআরের ওয়েবসাইটে সে দিনের অজানা কাহিনী শুনিয়ে বলেন, ‘‘বীরু যখন আউট হয়, তখন আমি তৈরিই ছিলাম না। তখন সবে প্যাড-আপ করছিলাম। ওরা রেফারেল নেওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার সময় পেয়েছিলাম। তখন মনে কোনও টেনশন ছিল না বলে চাপমুক্ত হয়েই মাঠে নেমেছিলাম। প্রথম বলেই লাসিথ মালিঙ্গাকে বাউন্ডারিতে পাঠানোর ফলে আর বেশি চাপে পড়িইনি। সে দিন মাঠে নামার আগে বুঝেছিলাম, দলের প্রতি সদস্যের আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমরাই বিশ্বকাপ জিতব। এটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট।’’