বন্ধুত্ব: দুই ভোজনরসিক। লারার জন্মদিনে ছবি টুইট করে লিখলেন সচিন।
ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ হচ্ছে বলে অনেকেরই ধারণা, এ বার হয়তো বেশি সুবিধা পাবেন পেসাররা। এমনিতেই ইংল্যান্ডে বল বেশি সুইং করে। কিন্তু কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের অনুমান, ব্যাটিং সহায়ক পিচেই খেলা হবে প্রত্যেক ম্যাচ। সেই সঙ্গে গরমের কারণে বল বেশি নড়াচড়াও করবে না।
২০ মে ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে চলেছে ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ। যে ম্যাচে কাগিসো রাবাডা, লুঙ্গি এনগিডি, ডেভিড উইলিদের থেকে নজর কাড়তে পারেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি, জো রুট, মইন আলিরা। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে এমআইজি প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনে এসে সচিন বললেন, ‘‘শুনেছি বিশ্বকাপের সময় খুব গরম থাকবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় যে রকম ছিল। সূর্যের আলোয় পিচ থেকে সব আর্দ্রতা চলে যায়। তাপমাত্রা যত বাড়বে, পিচ ততই ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করবে। আমি নিশ্চিত, বিশ্বকাপ অসাধারণ পিচে খেলা হবে।’’ সচিন মনে করেন, ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পেলেও বোলারদের জন্য সে রকম কিছু থাকবে না। বলছিলেন, ‘‘চড়া রোদের মধ্যে বোলাররা সে রকম সুবিধা পাবে না। পার্থক্য গড়ে দিতে পারে মেঘে ঢাকা আকাশ। সেই সময় বল নড়াচড়া করতে পারে। কিন্তু সেটাও বেশিক্ষণ হবে না। এক দু’ওভার পর থেকেই সুইং বন্ধ হয়ে যাবে।’’
বিশ্বকাপের আগে আইপিএলে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন বিরাট কোহালি, কে এল রাহুল, হার্দিক পাণ্ড্যরা। পারফর্মও করছেন। কেকেআরের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৯১ রান করার পরে হার্দিককে নিয়ে আলোচনা করছে বাকি দলগুলো। সচিনকে প্রশ্ন করা হয়, আইপিএলের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে কাজে দেবে কি না। সচিনের উত্তর, ‘‘যে কোনও ফর্ম্যাটেই ভাল পারফর্ম করার মূল্য রয়েছে। ভাল খেললে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আগামী দিনে এই আত্মবিশ্বাসই ভাল খেলার রসদ।’’
কিন্তু ইংল্যান্ডের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কী করা উচিত? সচিনের মত, ‘‘ওরা এত ক্রিকেট খেলেছে যে, সব পরিস্থিতির সঙ্গেই মানিয়ে নিতে পারবে। তা ছাড়া আইপিএলের পরে অনেক দিন সময় পাচ্ছে। তখন প্রস্তুতি নিতে পারবে।’’
সচিনের নামে প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনের দিনেই জন্মদিন ব্রায়ান লারার। কয়েক দিন আগেই কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা হয়েছিল আরেক কিংবদন্তির। তখন লারাকে কী বলেছিলেন সচিন? মাস্টার ব্লাস্টার বলেন, ‘‘কয়েক সপ্তাহ আগেই দেখা করেছিলাম। তখন ওকে বলেছিলাম, ৫০ বছর পেরিয়ে গেলে। এ বার আরও ৫০ করার জন্য তৈরি হও। লারা অসাধারণ মানুষ। বাইরে থেকে যে রকম, ভেতর থেকেও সেই একই রকম। মাঠে অনেক বিশেষ মুহূর্তে আমাদের উপহার দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু জীবনে অনেক বড় উপহার ওর জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে।’’
সচিনের নামে যে প্যাভিলিয়ন তৈরি হয়েছে। সে মাঠেই তাঁর দাদা অজিত তেন্ডুলকরের বিরুদ্ধে সিঙ্গল উইকেট প্রতিযোগিতায় খেলেছিলেন। সেটাই তাঁর একমাত্র ম্যাচ যেখানে জেতার জন্য তিনি খেলতে নামেননি। সচিন বলছিলেন, ‘‘কোনও দিন এ বিষয়ে কথা বলিনি। কিন্তু আজ সেই স্মৃতির কথা জানাতে চাই। দাদার বিরুদ্ধে এ মাঠেই একমাত্র ম্যাচ খেলেছিলাম আমি। সিঙ্গল উইকেট প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে আমার বিরুদ্ধে ম্যাচ পড়েছিল দাদার। সে ম্যাচে আমি জিততে চাইনি। বুঝতে পেরেছি দাদাও আমাকে হারাতে চাননি। তাই ওয়াইড, নো-বল করছিলেন। আমিও ডিফেন্ড করছিলাম।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘কিন্তু দাদা চোখ রাঙিয়ে আমাকে ভাল খেলার নির্দেশ দেন। শেষমেশ ম্যাচটি আমিই জিতি।’’