তিনি ফিরলেন সেই চির চেনা পথেই। মাঝে তিন বছরের বিচ্ছেদ। আবার ফিরতেই হল সেই গোপীচাঁদের কোচিংয়ে। যার হাত ধরে বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে সাফল্যের শিখরে ওঠা। যাঁর হাত ধরে দেশের এক নম্বর টেনিস তারকা হয়ে ওঠা, সেই সাইনা নেহওয়াল একদিন গোপীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বিমল কুমারের কাছে বেঙ্গালুরুতে। সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয়েছিল যে কথাও বলতেন না একে অপরের সঙ্গে। সেটা ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর। বিমল কুমারের কোচিংয়েও সাফল্য এসেছে সাইনার। বিশ্বের এক নম্বর হয়েছেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক এসেছে। অল-ইংল্যান্ডের ফাইনালে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন
থেমে গেল স্বপ্নের দৌড়, হেরে গেলেন শারাপোভা
প্রথম রাউন্ডে বিদায় দীপিকার, বিস্মিত দোলাও
গোপীচাঁদের হাত ধরেই সাফল্যের পথ চলা শুরু। গোপীর কোচিংয়েই অলিম্পিকের প্রথম শাটলার হিসেবে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। সঙ্গে একাধিক আন্তর্জাতিক পদক। সাইনা-গোপীর হাত ধরেই ভারতীয় ক্রীড়ায় আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ব্যাডমিন্টন। যদিও সাইনার গোপীচাঁদকে ছেড়ে যাওয়াটা এটাই প্রথম নয়। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসের পরও গোপীচাঁদকে ছেড়ে ভাস্কর বাবুর কাছে কোচিং নিতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ফিরে যান। তার পর গোল বাঁধে পিভি সিন্ধুর উত্থানের সঙ্গে সঙ্গেই। সাফল্য আসতে থাকে সিন্ধুর। গোপীচাঁদ তাঁর পিছনে বেশি সময় দিতে থাকেন। সেই সময় সিন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে কিদাম্বি শ্রীকান্ত, সাই প্রনীথ, এইচএস প্রণয়, পারুপল্লী কাশ্যপের মতো উদীয়মান তারকারা। তাঁদের কোচিংয়ে বেশি মন দেন গোপী। যেটা সেই সময় মেনে নিতে পারেননি সাইনা। তাই নতুন কোচের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরতেই হল সেই পুরনো কোচের কাছেই।
সম্প্রতি চোট, আঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়ছিলেন সাইনা। শেষ প্রতিযোগিতার আসরে তিন বছর পর কথাও হয় সাইনা-গোপীর। তার পরই এই সিদ্ধান্ত। খুব দ্রুতই আবার দেখা যাবে ভারতের সেরা ব্যাডমিন্টন কোচ-প্লেয়ার জুটিকে।