মধ্যমণি কিংবদন্তি নাভ্রাতিলোভা। দু’পাশে সানিয়া-কারা। সিঙ্গাপুরে।
ফাইনালে পৌঁছনোর পর গতকাল টুইট করেছিলেন, “উড়তে ভয় পেও না, ডানা মেলো আর ম্যাজিক দ্যাখো!” রবিবাসরীয় সিঙ্গাপুরে সত্যিই ম্যাজিক তৈরি করলেন সানিয়া মির্জা। জিম্বাবোয়ান ডাবলস পার্টনার কারা ব্ল্যাকের সঙ্গে দাপুটে টেনিসে ওয়ার্ল্ড ফাইনালস খেতাব জিতে!
ম্যাজিক, কারণ ১৯৯৭-২০১২, ভারতের ডাবলস কিংবদন্তিরা বারবার ফাইনালে উঠেও যে খেতাব জিততে ব্যর্থ, অভিষেকে ফাইনাল খেলেই সেই সেরাদের সেরার মুকুট সানিয়ার মাথায়। পেশাদার সার্কিট ট্যুরে মরসুম শেষের ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে লিয়েন্ডার পেজ-মহেশ ভূপতি দু’বার খেতাবি ম্যাচে নেমেও পারেননি। মহেশ পরে ম্যাক্স মির্নির সঙ্গে এবং রোহন বোপান্নাকে নিয়ে আরও দু’টি ফাইনাল খেলেও হেরেছেন। অথচ কারা ব্ল্যাকের সঙ্গে জুড়িদারির শেষ টুর্নামেন্টে বাজিমাত করলেন সানিয়া। তা-ও আবার দ্বিতীয় বাছাই জুটি, চিনা তাইপের সু-ওয়েই শি ও চিনের সুয়াই পেংয়ের সার্ভিস ছ’বার ভেঙে নিজেরা একবারও ব্রেক পয়েন্টের মুখ না দেখে ৬-১, ৬-০ জিতে। এই জুটির কাছেই এ মরসুমে ইন্ডিয়ান ওয়েলস, মাদ্রিদ ও প্যারিসে হেরেছিলেন সানিয়া-কারা। প্রসঙ্গত, আগামী বছর সানিয়ার নতুন জুটি হচ্ছে শি-র সঙ্গেই।
কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার নামাঙ্কিত ট্রফি তাঁর হাত থেকেই নিয়ে উচ্ছ্বসিত সানিয়া বলেছেন, “চোটের কারণে সিঙ্গলস ছেড়ে শুধু ডাবলস খেলার সিদ্ধান্তটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু গত দু’বছর ডাবলসে দারুণ উন্নতি করেছি। এই জয়টা যার সেরা প্রাপ্তি।” ঐতিহাসিক খেতাবের সৌজন্যে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বরে উঠে আসা হায়দরাবাদি জানিয়ে দিচ্ছেন, তাঁর পাখির চোখ ডাবলসে এক নম্বর হওয়া। আর বলছেন, “আমার ভেতরে এখনও অনেক খিদে রয়েছে। টেনিসে আরও অনেক কিছু করে দেখাতে চাই।” সিঙ্গলসে সেরার সেরা হয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। ফাইনালে সিমোনা হালেপকে হারান ৬-৩, ৬-০।