সেই পুরনো ছন্দেই খেলছে সেরিনা। ছবি: রয়টার্স।
অ্যান্ডি মারের ঘোষণার পরে, প্রায় সকলেই অস্ট্রেলীয় ওপেনে ওর ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিল। শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে কিন্তু আমার খারাপ লাগেনি ওকে। শুধু পঞ্চম সেটে মারেকে ক্লান্ত লাগছিল। আশা করি, ও অবসরের কথা পুর্নবিবেচনা করবে। কোমরের চোট সারিয়ে ফিরে আসবে।
বাকি খেলোয়াড়েরা অর্থাৎ নোভাক, রজার, রাফা এবং জেরেভ সবাই পরের রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছে এবং দারুণ খেলছে। চোটের আশঙ্কা কাটিয়ে রাফা প্রথম সপ্তাহে কী রকম খেলে সেই কৌতূহল ছিল। রাফা ভালই খেলছে। রজারের কথা আর কী বলব! শীতের ছুটি কাটিয়ে দুরন্ত ভাবে রজার ফিরে এসেছে। অনবদ্য টেনিস খেলছে। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় একটাও সেট হারায়নি। সাশাও (আলেকজান্ডার জেরেভ) ভালই খেলছে। শনিবার অ্যালেক্স বোল্টকে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ডেও পৌঁছে গেল। নোভাক আবার কিছুটা হোঁচট খেল ডেনিস শাপোভালভের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছে নোভাক। ফলে দ্বিতীয় সপ্তাহে দুরন্ত কিছু দ্বৈরথ দেখার তর সইছে না। বড় নাম যেমন রয়েছে। তেমনই তরুণ প্রজন্মও উঠে এসেছে।
মেয়েদের বিভাগে আমি ক্যারোলিন ওজনিয়াকির ছিটকে যাওয়া দেখে অবাক। মারিয়া শারাপোভার ‘দ্বিতীয় ইনিংসে’ এটাই হয়তো সেরা জয়। সিমোনা হালেপও প্রথম দিকে একটু সমস্যায় পড়েছিল। মেয়েটা ভীষণ লড়াকু। শনিবার ভিনাসকে হারিয়ে এ বার ও সেরিনার সামনে। এর মধ্যে মাত্র ১৭ বছর বয়সি আমান্ডা আনিসিমোভার পারফরম্যান্সও উল্লেখযোগ্য। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বলতে হয় সেরিনার কথা। সেরিনা ওর সেই পুরনো ছন্দেই খেলছে। আগের চেয়ে অনেক ফিট আর শান্ত লাগছে ওকে। তাই আমার চোখে প্রথম সপ্তাহে সেরা খেলোয়াড় সেরিনাই।