গম্ভীরকে পাল্টা পাকিস্তানে আমন্ত্রণ আফ্রিদির

শাহিদ আফ্রিদি এবং গৌতম গম্ভীরের বাগ্‌যুদ্ধ থামার নাম নেই। শুরুটা করেছিলেন আফ্রিদি। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন গম্ভীর। কিন্তু সেখানেই না থেমে আবার প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারকে বিঁধলেন প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

বিস্ফোরক: আফ্রিদির আত্মজীবনী নিয়ে ঝড় উঠেছে। ফাইল চিত্র

শাহিদ আফ্রিদি এবং গৌতম গম্ভীরের বাগ্‌যুদ্ধ থামার নাম নেই। শুরুটা করেছিলেন আফ্রিদি। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন গম্ভীর। কিন্তু সেখানেই না থেমে আবার প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারকে বিঁধলেন প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক।

Advertisement

আফ্রিদি তাঁর সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’-এ লেখেন, ‘‘গম্ভীরের কোনও ব্যক্তিত্ব নেই এবং ও প্রচণ্ড উদ্ধত।’’ শুধু তাই নয়, আফ্রিদি, প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককে নিয়ে আরও লিখেছেন, ‘‘ওর মতো ছেলেদের করাচিতে আমরা ‘সরিয়ল’ (বদমেজাজি) বলে ডাকি। আমার কাছে ব্যাপাটা খুব সহজ। আমি হাসখুশি, ইতিবাচক মানুষ ভালবাসি। সে আগ্রাসী না প্রতিদ্বন্দ্বী, তাতে কিছু যায় আসে না। তবে তাকে ইতিবাচক হতে হবে এবং গম্ভীর সে রকম নয়।’’

এই আক্রমণের জবাবে গম্ভীর বলেছিলেন, আফ্রিদির কোনও মনোবিদ দেখানো প্রয়োজন। তাঁর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে করাচিতে নিজের বইয়ের উদ্বোধনে এসে আফ্রিদি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, গম্ভীরের কোনও সমস্যা রয়েছে। আমি কয়েকটা হাসপাতালের সঙ্গে এখন কাজ করছি। তাই আমি গম্ভীরের জন্য চিকিৎসার ভাল ব্যবস্থা করতে পারব পাকিস্তানে।’’ গম্ভীরের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন আফ্রিদি। ‘‘ভারত সরকার সাধারণত খুব সহজে পাকিস্তানের মানুষদের ভিসা দেয় না। তবে আমি ভারত থেকে প্রত্যেককে পাকিস্তানে স্বাগত জানাব। আমাদের দেশের মানুষ এবং আমাদের সরকার সব সময়ই ভারতীয়দের স্বাগত জানিয়েছে। আর গৌতমের পাকিস্তানে চিকিৎসা করার জন্য আমি ভিসার ব্যবস্থা করে দেব,’’ বলেছেন আফ্রিদি।

Advertisement

গম্ভীরকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি আফ্রিদি স্বীকার করে নিয়েছেন, ১৯৯৬ সালে তাঁর ৩৭ বলে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়ার সময় সচিন তেন্ডুলকরের ব্যাট ব্যবহার করেছিলেন তিনি। সচিন সেই সময় প্রাক্তন পাকিস্তান বোলার ওয়াকার ইউনিসকে নিজের সেরা ব্যাট দিয়েছিলেন সিয়ালকোটে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুত করার জন্য সিয়ালকোট বিশ্বখ্যাত। সচিনের উদ্দেশ্য ছিল সিয়ালকোটে আর একটি ওরকম ব্যাট তৈরি করা। ‘‘কিন্তু ওয়াকার সিয়ালকোটে ব্যাটটা নিয়ে যাওয়ার আগে আমাকে দিয়েছিলেন, সে দিন ব্যাট করতে যাওয়ার আগে। ফলে নাইরোবিতে শাহিদ আফ্রিদির প্রথম সেঞ্চুরি আসে সচিন তেন্ডুলকরের সেরা ব্যাটে। ভাবুন এক বার,’’ লিখেছেন আফ্রিদি।

খেলোয়াড় জীবনের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ এবং প্রথম বার ব্যাট করতে নেমে ৪০ বলে ১০২ রানের ইনিংসে আফ্রিদি ১১টা ছক্কা এবং ছটা বাউন্ডারি মেরেছিলেন। স্ট্রাইক রেট ২৫৫। মজার হল, আফ্রিদি সেই ইনিংসের আগে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বিরুদ্ধে ছক্কা মারার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই ইনিংসের আগে রুমমেট শদাব কবীরকে সকালে স্বপ্নের কথাও বলেছিলেন আফ্রিদি, ‘‘জানিস স্বপ্নে দেখলাম জয়সূর্য, মুরলীধরন, ধর্মসেনার বোলিংয়ে ছক্কা মারছি। বিরাট বিরাট ছক্কা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন