মডেল ভ্যালেরি এবং শেন ওয়ার্ন। ফাইল চিত্র
ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন শেন ওয়ার্ন। এবং, এ বারও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন এক মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ছবি তুলে দিয়ে অভিযোগ করেছেন যে, একটি নাইট ক্লাবে তাঁকে ওয়ার্ন মারধর করেন। ওয়ার্নের আক্রমণে তাঁর শরীরে কালো দাগ পড়ে যাওয়ার ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
ভ্যালেরি ফক্স নামে এই মডেল পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর টুইটের পরে রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ভ্যালেরি টুইটে ওয়ার্ন সম্পর্কে লিখেছেন, ‘নিজেকে নিয়ে গর্ব করো। আবার মহিলার গায়ে হাত তোলে। ঘৃণ্য জীব কোথাকার’। শুধু ওয়ার্নকে পাল্টা এক হাত নেওয়াই নয়, ভ্যালেরি পুলিশের কাছে রিপোর্ট করার একটি কার্ডও পোস্ট করে দাবি করেছেন, ওয়ার্নের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে ওয়ার্ন বেকায়দায় পড়তে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
প্রাথমিক খবরের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, ওয়ার্ন সত্যিই সেই নাইট ক্লাবে ছিলেন। নাইট ক্লাবে তাঁর ছবিও নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। শুক্রবার রাতে ভ্যালেরি এবং ওয়ার্নকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। ফ্লোরে একটা সময় মুখ ঢেকে বসে পড়েন ভ্যালেরি। প্রশ্ন উঠছে, তখনই ওয়ার্ন তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন কি না? তবে সন্ধ্যাটা দু’জনে একসঙ্গে কাটিয়ে ক্লাবে এসেছিলেন নাকি ক্লাবেই তাঁরা পরিচিত হন, সেটা নিয়ে এখন খোঁজখবর চলছে।
দশ থেকে বারোটি পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করেছেন ভ্যালেরি। তিনি দাবি করছেন, পুলিশ শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে তদন্ত শুরু করছে। ওয়ার্ন এই মুহূর্তে ধারাভাষ্যকার এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে অনেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। তাদের সঙ্গে চুক্তি থেকে মোটা অর্থও পান। যদি নিগ্রহের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাঁর বিশেষজ্ঞের চুক্তিও বাতিল হতে পারে। ভ্যালেরি টুইটারে প্রচুর সমর্থনও পেয়েছেন, যা ওয়ার্নের উপর আরও চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটও করেছেন ভ্যালেরি। সেন্ট্রাল লন্ডনের কাছে শুক্রবার রাতে ট্যাক্সি থেকে মুখ ঢেকে নামেন তিনি। তখন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের সামনে বলেন, ‘‘মিডিয়াকে এ নিয়ে কিছু বলব না।’’
ওয়ার্নের জীবনে নারীসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। স্ত্রী সিমোনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০০৫ সালে। টাইগার উড্সের মতোই একাধিক নারীর সঙ্গে সহবাস এবং যৌন উদ্দীপক টেক্সট মেসেজ নিয়েও ওয়ার্নের বিরুদ্ধে নানা কাহিনি নানা সময়ে বাজারে বেরিয়েছে। এর পর এলিজাবেথ হার্লির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়ে ‘এনগেজমেন্ট’ হয়ে গেলেও তা পূর্ণতা পায়নি। এক অন্তর্বাসের মডেল দাবি করেন, লিজের সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালীনই ওয়ার্ন তাঁর সঙ্গে সহবাস করতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলীয় মডেল এমিলি সিয়ার্সের সঙ্গেও ওয়ার্নের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানিয়েছে, ‘ওয়েস্টমিনিস্টারে হার্টফোর্ড স্ট্রিটের একটি নাইটক্লাবে একটি নিগ্রহের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। গোয়েন্দারা সেটা তদন্ত করে দেখছেন।’ ইংল্যান্ডের একটি ট্যাবলয়েড এই খবর প্রকাশ করে জানিয়েছে, ওয়ার্নের মুখপাত্র এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।