সহজেই রোমে শেষ আটে নাদাল

বৃহস্পতিবার রোমে সামনে পেলেন ডেনিস শাপোলভকে। এবং কানাডিয়ান প্রতিপক্ষকে দিশাহারা করে ম্যাচ জিতে নিলেন ৬-৪, ৬-১ সেটে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

খেলছেন রোম মাস্টার্সে। কিন্তু টেনিস পণ্ডিতেরা এখন থেকে বলে যাচ্ছেন, রোলাঁ গারোজেও তিনিই ফেভারিট। মাদ্রিদে কোয়ার্টার ফাইনালে দমিনিক থিমের কাছে হারাটা যে নিছকই দুর্ঘটনা ছিল সেটাই যেন প্রমাণ করতে লেগে পড়েছেন রাফায়েল নাদাল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রোমে সামনে পেলেন ডেনিস শাপোলভকে। এবং কানাডিয়ান প্রতিপক্ষকে দিশাহারা করে ম্যাচ জিতে নিলেন ৬-৪, ৬-১ সেটে। অথচ প্রায় ন’মাস আগে এই শাপোলভই মন্ট্রিলের হার্ড কোর্টে মস্ত বড় অঘটন ঘটান স্পেনীয় মহাতারকাকে উড়িয়ে। তখন অবশ্য খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন রাফা। চোট আর পিঠে ব্যথা শেষ করে দিচ্ছিল তাঁর খেলা। তখন শাপোভালভের র‌্যাঙ্কিং ছিল দেড়শোর কাছাকাছি। এখন কিন্তু সেই কানাডিয়ান ২৯ নম্বর। তবু সেরা ফর্মের রাফার কাছে তিনি যে নেহাতই লিলিপুট সেটা পরিষ্কার বোঝা গেল রোমের লাল মাটির কোর্টে।

নাদাল এ দিন টানা ১৫ পয়েন্ট জিতলেন নিজের সার্ভে। এটা অবশ্য প্রথম সেটে। আর দ্বিতীয় সেটে জিতে নিলেন টানা চারটি গেম। স্বভাবতই ম্যাচের পরে রীতিমতো বিধ্বস্ত দেখিয়েছে শাপোলভকে। বলেছেন, ‘‘আপনার প্রতিপক্ষ এই রকম খেললে কিছুই করার থাকে না। রাফা বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন ক্লে কোর্টে ও-ই বিশ্বসেরা।’’

Advertisement

নাদাল এখানে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবেন ইতালির ফাবিও ফগনিনির বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে নাদালের বিরুদ্ধে তাঁর ভাল কিছু করার আদৌ কোনও সম্ভাবনা আছে কী? ফগনিনির জবাব, ‘‘মনে হচ্ছে রাফাকে হারানো এই মুহূর্তে অসম্ভব। তবু আমার তরফ থেকে চেষ্টায় ত্রুটি থাকবে না। জানি এখানকার সবাই রাফারই ভক্ত। তবু রোমের টেনিসপ্রেমীদের অনুরোধ করব, অন্তত এই ম্যাচটার জন্য যেন আমার পাশে থেকে গলা ফাটায়।’’

এ দিন নদালের খেলা দেখতেই স্টেডিয়ামে ছিলেন ফগনিনি। তখনই সাংবাদিকরা তাঁকে পেয়ে যান। ইতালীয় তারকা অবশ্য কোনও রকমে একটুখানি কথা বলেই স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যান। আর সাংবাদিকদের সামনে এসে নাদাল যেটা বললেন তা এখানে আসার পর থেকেই বলে যাচ্ছেন।

অবশ্য রোমে এসে এই প্রথম মারিয়া শারাপোভার সঙ্গে প্র্যাক্টিসের অভিজ্ঞতা নিয়ে বললেন নাদাল, ‘‘আমার বেশ লেগেছে।’’ রোমে বেশ ভালও খেলেছেন রুশ টেনিস সুন্দরী। বৃহস্পতিবার দারিয়া গাব্রিলোভার সঙ্গে তাঁর খেলা ছিল। জিতলেন ৬-৩, ৬-৪ সেটে। উঠলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। দারিয়া ট্যুরে ২০১৫ সাল পর্যন্ত খেলেছেন রাশিয়ার হয়ে। এখন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও মারিয়ার খুবই পরিচিত। বন্ধুও। এ হেন স্বদেশী বন্ধু মারিয়ার সামনে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারলেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন