বিতর্ক: পেনাল্টি মারতে যাওয়ার আগে মানজ়ির সেই ইঙ্গিত।
সুপার কাপ বয়কট করা আট দলের জোট থেকে কী চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফসি বেরিয়ে আসছে? জোটের কর্তারা বুধবার রাত পর্যন্ত দাবি করেছেন, তাঁদের সিদ্ধান্তে কোনও পরিবর্তন হয়নি। সবাই একজোট আছেন। তবে রাতে টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কামাথ ফোনে দাবি করলেন, ‘‘চেন্নাই সিটি এফসি কখন ভুবনেশ্বরে আসছে এবং কোথায় থাকবে তা জানিয়ে দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল, চার্চিল ব্রাদার্স এবং নেরোকার চিঠির অপেক্ষায় আছি আমরা। ওরাও চিঠি পাঠাচ্ছে বলে শুনেছি।’’ তবে তিনি জানিয়ে দেন, মোহনবাগানের খেলার কোনও সম্ভবনা নেই। তারা কোনও ফুটবলারের নাম নথিভুক্ত করেনি। ফেডারেশনের দাবি সঠিক হলে, একঘরে হয়ে যেতে পারে মোহনবাগান। এ দিন সকালে অনুশীলনের পর সবুজ মেরুনের তারকা ফুটবলার সনি নর্দে অবশ্য বলেছেন, ‘‘মোহনবাগানের মতো দলের দেশের সব প্রতিযোগিতায় খেলা উচিত।’’
কিন্তু সুপার কাপ নিয়ে ডামাডোলের মধ্যেই অবশ্য আই লিগের দুটি বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসল ফেডারেশন। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফসি বনাম মিনার্ভা ম্যাচের সেই বিতর্কিত পেনাল্টি এবং ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট নিয়ে তদন্তে গতি বাড়ালেন ফেডারেশনের ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ। নির্দিষ্ট দিকে আঙুল দেখিয়ে পেনাল্টি মেরেছিলেন চেন্নাইয়ের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার পেদ্রো মানজ়ি এবং যিনি গোল খেয়েছিলেন, সেই মিনার্ভা গোলকিপার নীতিনলালকে শো-কজ করা হল। দু’জনের কাছেই জানতে চাওয়া হল, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক কি না? ফুটবল হাউসের খবর, ওই দুই ম্যাচে খেলা কয়েকজন ফুটবলার, ম্যাচ কমিশনার ও রেফারি পরীক্ষকের সঙ্গেও না কি কথা বলেছেন জাভেদ। প্রয়োজনে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হতে পারে মানজ়ি এবং নীতিনলালকে। এ দিকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভেস্তে যাওয়া রিয়াল কাশ্মীর বনাম মিনার্ভা পঞ্জাবের ম্যাচ আর করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন ফেডারেশন কর্তারা।