শ্রেয়াস আইয়ার। ছবি: পিটিআই।
অস্ট্রেলিয়া ৪৬৯/৭ (ঘোষণা) ও ১১০/৪ (৩৬ ওভার)
ভারত ৪০৩
ম্যাচ ড্র
ইন্ডিয়া ‘এ’ দলে একমাত্র নজর কাড়লেন তিনিই। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন ডবল সেঞ্চুরি তো করলেনই অপরাজিতও থাকলেন। উল্টোদিকে তাঁর ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ ছিলেন না তাই। না হলে তাঁর রানের তালিকায় যে আরও কিছু রান যোগ হত সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ২০২ রান করেই থামতে হয় তাঁকে। একদিকে ব্যাট হাতে লড়ে যাচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। উল্টোদিকে পর পর সব ফিরে যাচ্ছিলেন প্যাভেলিয়নে। দ্বিতীয় দিন ভারত শেষ করেছিল ১৭৬/৪এ। ক্রিজে ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋশভ পন্থ। শ্রেয়াস ব্যাট করছিলেন ৮৫ রানে, পন্থের রান ছিল তিন। ২১ রান করে আউট হন পন্থ। এর পর ঈশান কিষান চার রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর শ্রেয়াসের সঙ্গে ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন কৃষ্ণাপ্পা গৌথম। কেফের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন গৌথম। এর পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। শহবাজ নাদিম কোনও রান না করেই আউট হয়ে যান। অশোক দিন্দার ব্যাট থেকে আসে দুই রান। নভদীপ সাইনির সংযোজন চার। তৃতীয় দিন ৪০৩ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
আরও খবর: অস্ট্রেলিয়ার স্লেজিং শুরু প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই
ম্যাচের মাঝেই অস্ট্রেলিয়া শিবিরে জল পানের বিরতি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে এসে খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থামে ১১০/৪এ। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য, নভদীপ সাইনি, অশোক দিন্দা ও ঋশভ পন্থ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৫ রান করেন ডেবিড ওয়ার্নার। ৩৭ রান করেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। অনুশীলন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৬৯/৭এ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যে ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও শ্যন মার্শ। দু’জনেই রিটার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। মিশেল মার্শ খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ভারতের হয়ে জোড়া উইকেট নেন নভদীপ সাইনি। ইংল্যান্ডের হয়ে চারটি উইকেট নেন নাথান লিও। তিনটি উইকেট স্টিভ ও’কেফের। দু’টি উইকেট জ্যাকসন বার্ডের।