পুণে ম্যাচে অপ্রত্যাশিত হারের পর রাঁচিতে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে একপেশে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পিছনে একক অবদান যদি কিছু থাকে, তো সেটা শিখর ধবনের বিধ্বংসী ৫১ রানের ইনিংস। দুশোর উপর স্ট্রাইকরেট রেখে যে নির্মম হাফসেঞ্চুরিটা করে গেলেন ভারতীয় টিমের ‘গব্বর’, তার সুবাদে ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই বিপক্ষ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। শিখরের নিধনশেষে শ্রীলঙ্কা আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। ভারতও সিরিজ বাঁচিয়ে রেখে বিশাখাপত্তনমে নামছে আজ, রবিবার।
সেই শিখর শো-এর রহস্য ফাঁস করে দিলেন তাঁর ওপেনিং পার্টনার রোহিত শর্মা। না, কোনও তুকতাক বা বিশেষ ব্যাট ব্যবহার নয়। শিখরের সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁর মাতৃভাষা! ‘‘ম্যাচের আগে টিম হাডল করার সময় শিখর আমাদের ছোট একটা পেপ টক দিয়েছিল। মনে হয় ওটাই ওকে চাগিয়ে দিয়েছিল। নিজের ভাষায়, একদম পঞ্জাবি স্টাইলে শিখর আমাদের সঙ্গে কথা বলছিল। ওটা ও খুব ভাল করতে পারে,’’ ভারতীয় বোর্ডের ওয়েবসাইটকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন রোহিত। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘দলের সবারই একটু ঠাট্টা-ইয়ার্কি দরকার। যেটা শিখর খুব ভাল পারে।’’
টিমের মেজাজ হালকা রাখা শুধু নয়। মরণবাঁচন ম্যাচে টিমকে দুর্দান্ত জয়ও এনে দিয়েছেন শিখর। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যেটা ভারত সমর্থকদের কাছে দারুণ খবর। রোহিতের কথায়, ‘‘শিখরকে ও ভাবে ব্যাট করতে দেখাটা দারুণ ব্যাপার। ওর ফর্ম আমাদের পক্ষে খুব জরুরি।’’ বক্তা নিজেও হালফিলে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় পরপর সেঞ্চুরি করে দেশে ফিরেছেন রোহিত। অবশ্য তিনি বলছেন, ‘‘মনে হয় না জীবনের সেরা ফর্মে আছি আমি। যেটা করছি, সেটাই করে যেতে চাই। প্রতিটা ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেটাকে মন থেকে মুছে ফেলি।’’ সঙ্গে সংযোজন, ‘‘আমার কাজ এখনও শেষ হয়নি। বিশাখাপত্তনমের ম্যাচটা খুব জরুরি। সিরিজটা আমাদের জিততে হবে। যে ভাল ফর্মে আছে, টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি।’’
টিম ইন্ডিয়ার দুই তরুণ প্রতিভা— হার্দিক পাণ্ড্য এবং জসপ্রীত বুমরাহ, দু’জনই আইপিএলে রোহিত শর্মার নেত়ৃত্বে খেলেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে দুই তরুণ প্রসঙ্গে রোহিতের মন্তব্য, ‘‘দেখতেই পাচ্ছেন ওরা কতটা উন্নতি করেছে। রাঁচিতে ডেথে বুমরাহ যে দুর্দান্ত ইয়র্কারগুলো দিল, হার্দিক যে ১২ বলে ২৭ করে দিল, এই পারফরম্যান্সগুলো টিমকে জয়ের ছন্দে নিয়ে এসেছে।’’ সঙ্গে রোহিতের সংযোজন, ‘‘টিমে ওদের ভূমিকা বা দায়িত্ব বা চ্যালেঞ্জ, সব আলাদা। আমি শুধু চাই ওরা যেন ভবিষ্যতের উপর ফোকাসটা ধরে রাখতে পারে। এই পরিস্থিতিতে খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়লে ওদের অসুবিধেই হবে। যাই হোক, ওদের মধ্যে আমি যথেষ্ট সম্ভাবনা দেখছি।’’