ঋদ্বিমান সাহা।
কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হেরে গিয়েছে ভারত। তবু কিছুটা হলেও খুশির হাওয়া শিলিগুড়িতে। কেন? ‘‘আমাদের পাপালি তো ভারতীয় রেকর্ড করে ফেলল,’’ বলছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব তথা শিলিগুড়ি অগ্রগামী সঙ্ঘের অন্যতম কর্মকর্তা জয়ন্ত ভৌমিক।
জয়ন্তবাবু এক সময়ে ছিলেন পাপালি তথা ঋদ্বিমান সাহার কোচ। কোন রেকর্ডের কথা বলছেন তিনি? এ দিন কেপটাউনে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে মর্নি মর্কেলের ক্যাচ লুফতেই দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর শিকার দাঁড়াল ১০-এ। এর আগে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি দুই ইনিংস মিলিয়ে ন’জনকে আউট করেছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে ঋদ্ধির মাথায় এখন শিরোপা।
এর আগে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন ঋদ্ধি। বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে ক্যাচ ধরেছেন। যার জন্য সুপারম্যান আর স্পাইডারম্যান বলা হয় তাঁকে। এ বারের ১০টি শিকার নতুন পালক যোগ করল তাঁর মুকুটে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁদের কথায়, শিলিগুড়ির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ঋদ্ধির জন্য এখন গোটা দেশই গর্বিত।
খুশির ছোঁয়া শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদেও। সন্ধ্যা থেকেই সেখানে তাঁকে নিয়ে আলোচনা। তাঁদের প্রিয় পাপালি যে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের আলাদা জায়গা করে নিচ্ছে, বারবার উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ।
তবে একই সঙ্গে ভারত জিতলে আরও খুশিরা চারগুণ বেশি হতো, মানছেন সকলেই। সে ক্রীড়া পরিষদই হোক বা পাপালির পাড়া শক্তিগড়ের বাসিন্দারা। সকলেরই আফসোস, জেতার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। ব্যাটসম্যানরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আর আনন্দটা সর্বাঙ্গীণ হতো।