Sport News

হারের আতঙ্ক কাটিয়ে ট্রফি হালেপের

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ০৪:০৯
Share:

চ্যাম্পিয়ন: ফরাসি ওপেন ট্রফি হাতে সিমোনা হালেপ। ফাইনালে তিনি হারালেন স্লোয়ান স্টিফেন্সকে। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস খেলোয়াড় তিনি। তবু গ্র্যান্ড স্ল্যামের পালক ছিল না তাঁর মুকুটে। শনিবার অবশেষে সেই অভাব পূরণ করলেন রোমানিয়ার সিমোনা হালেপ। যিনি এর আগে তিনবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠেও কখনও জিততে পারেননি। শনিবার রলঁ গারোসে চতুর্থ বারের চেষ্টায় সফল হলেন।

Advertisement

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্লোয়ান স্টিফেন্সের কাছে প্রথম সেটে হারার পরে শেষ দুই সেটে তাঁকে মাত্র পাঁচটি গেম জিততে দিয়ে ম্যাচ বার করে নেন ২৬ বছর বয়সি হালেপ। দু’ঘণ্টা তিন মিনিটে বিশ্বের দশ নম্বর স্টিফেন্সের হাত থেকে সেই বহু আকাঙ্খিত জয় ছিনিয়ে নিলেন ৩-৬, ৬-৪, ৬-১।

বরফেশীতল মাথার তরুণী বিশ্বের দশ নম্বর স্টিফেন্স ছ’বার ফাইনালে উঠে ছ’বারই জেতেন। হালেপের রেকর্ড ঠিক উল্টো। গত বার এই রলঁ গারোসেই মেয়েদের ফাইনালে হেরেছিলেন ইয়েলেনা অস্তাপেঙ্কোর কাছে। প্রথম সেট জিতে ও দ্বিতীয় সেটে বিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে থাকার পরেও। এক বছর পরে ঠিক একই রকম পরিস্থিততে পড়েন তিনি। প্রথম সেটে হারার পরে দ্বিতীয় সেটে হালেপের সার্ভিস ভেঙে তাঁকে পিছনে ফেলে দেন। গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে হারের ভূত এ বারও কি তাঁর ঘাড় থেকে নামবে না? এমনই প্রশ্ন দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

Advertisement

প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জেতার পরে পুরস্কার নেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‘শেষ গেমটায় মনে হচ্ছিল যেন আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। গত বছরের মতো হোক, একেবারেই চাইছিলাম না। আর এই জয়টা অবিশ্বাস্য লাগছে। টেনিস জীবনের শুরু থেকেই এই মুহূর্তটার স্বপ্ন দেখতাম। স্বপ্ন পূরণ পছন্দের শহর প্যারিসে। তাই বেশি ভাল লাগছে।’’

পিছিয়ে থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে নতুন ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্লোয়ান বেশ কঠিন। প্রথম সেটে হারার পরে দ্বিতীয় সেটে আমি নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে পেরেছি। সে জন্যই ঘুরে দাঁড়াতে পারলাম।’’

একাধিক বিতর্ক ও টেনিস জীবনে একের পর এক ওঠাপড়া পেরিয়ে অবশেষে এই লক্ষ্যে পৌঁছলেন রোমানিয়ার এই ২৬ বছরের তরুণী। যিনি টেনিসে উন্নতি করার জন্য স্তনে অস্ত্রোপচার করাতেও দ্বিধা করেননি। নিজেকে হাল্কা করার জন্যই ১৭ বছর বয়সে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হালেপ। যা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিদ্ধান্তটা নিতে মোটেই আমার ভাল লাগেনি। কিন্তু টেনিসের স্বার্থেই এটা করতে হয়েছিল।’’

গত বছর উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহানা কন্টার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। জোহানা দ্বিতীয় সেটের পরে উধাও হয়ে যান জামা কাপড় বদলাতে। চার মিনিটেরও বেশি তিনি কোর্টের বাইরে ছিলেন বলে অভিযোগ জানান। সেই ম্যাচেই জোহানার জয়সূচক পয়েন্টে তিনি শট মারার সময় গ্যালারিতে হঠাৎ এক মহিলা চিৎকার করে ওঠায় তিনি বল নেটে মারেন। পরে হালেপ অভিযোগ করেন, তাঁকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হল।

এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ফাইনালে ক্যারোলিন ওজনিয়াকির কাছে হারার পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ায়। এ সব অভিজ্ঞতা পেরিয়ে এত দিনে বড় সাফল্যের মুখ দেখলেন। সে জন্যই বোধহয় এই সাফল্য ‘অবিশ্বাস্য’ মনে হচ্ছে তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন