বিধ্বংসী: ভবানীপুরের হয়ে নজির গড়ে প্রসেনজিৎ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রথম ডিভিশনের সিনিয়র গ্রুপ-লিগ নক-আউট টুর্নামেন্টে এক ওভারেই ছটি ছক্কা হাঁকিয়ে নজির সোদপুরের ছেলে প্রসেনজিৎ দাসের। সিএবির প্রথম ডিভিশনে এ বছর ভবানীপুরের হয়ে খেলছেন প্রসেনজিৎ। এই দিন কালীঘাট মাঠে নেতাজি সুভাষ ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে ৬১ বলে অপরাজিত ৯৬ রান করেন প্রসেনজিৎ।
রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ৩৮ ওভারে ২৯৩ রান তুলেছিল ভবানীপুর। ম্যাচের শেষ ওভারে সায়ন ভট্টাচার্যের বোলিংয়ে ৩৭ রান তুলে রেকর্ড গড়েন ময়দানের জন্টি (প্রসেনজিৎ)। জবাবে ১০৯ রানেই অল-আউট হয়ে যায় নেতাজি সুভাষ ইন্সটিটিউট। যুবরাজ সিংহ, গ্যারি সোবার্স, হার্শেল গিবসের মতো নজির গড়তে পেরে আপ্লুত প্রসেনজিৎ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘‘যুবরাজ সিংহরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই নজির গড়েছেন। আর আমি কালীঘাট মাঠে। দু’টোর মধ্যে অনেকটাই তফাত। তবে প্রথম তিনটি বল মারার পরেই আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’’
ছোটবেলায় লেগস্পিনার হিসেবে তিনি ক্রিকেটজীবন শুরু করেছিলেন পানিহাটি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে। প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট খেলাকালীন ব্যটসম্যানে পরিণত হন। ইস্টার্ন রেল ক্লাবে ভাল খেলার পরেই রেলওয়েজের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেন এবং সেখান থেকেই চাকরি পান ইস্টার্ন রেলে। যদিও বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার ইচ্ছায় তিনি বাড়ির লোকজনকে না জানিয়েই সেই চাকরি ছেড়ে দেন।
এক বছর মহমেডান স্পোর্টিংয়ে থাকার পরে টানা পাঁচ বছর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে প্রথম ডিভিশনে খেলেছেন তিনি। তাঁদের হয়ে ২০১৫-১৬ মরসুমে ১১টি সেঞ্চুরি করার পরেই বাংলা দলে সুযোগ পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। ফের বাংলা দলে সুযোগ পেতে আরও ভাল খেলতে চান তিনি। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘ভাল খেলতে পারলে আবার সুযোগ আসবে। আমাকে আরও ভাল খেলতেই হবে।’’