সেট পিস থেকে গোল হজমের বদভ্যাস প্রথম তিন ম্যাচের পরেও রয়ে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে তাই সেই ভুলত্রুটি সারানোর জন্য আসরে নেমে পড়েছেন কোচ খালিদ জামিল।
শনিবার ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্স। সেই ম্যাচে যাতে আর এই ভুলের মাশুল দিতে না হয়, তার জন্য লাল-হলুদ শিবিরে এখন গোলকিপারের ‘আউটিং’ অনুশীলন চলছে জোরকদমে।
মঙ্গলবার সকালে টানা দেড় ঘণ্টা গোলকিপারদের নিয়ে অনুশীলনে মেতেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোপ আবদুল সিদ্দিকি। যা পুরোপুরি পর্যবেক্ষণে ছিল দলের প্রধান কোচ খালিদ জামিলের। উইং বা কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল ধরতে গিয়ে অনুমাণে বা পজিশনে একটু ভুল করলেই এ দিন লুইস ব্যারেটো বা মিরশাদ মিচু-দের কড়া ধমক দিয়েছেন খালিদ।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর সামনে চিনের চ্যালেঞ্জ, এক নম্বরের বিরুদ্ধে শ্রীকান্ত
গোলকিপারের ভুলত্রুটি শোধরাতে খালিদের এই তৎপরতার কারণও রয়েছে। এ বারের আই লিগে প্রথম ম্যাচে আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ ২-২ ড্র করে ফিরেছিল লাল-হলুদ শিবির। যেখানে এগিয়ে গিয়েও ম্যাচের শেষ দিকে সেটপিস থেকে আইজলের করা গোলে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরকে। তার পরে বড় ম্যাচে ফের সেট পিস থেকে গোল করে যান মোহনবাগানের কিংগসলেও। গত শনিবার বারাসতে লাজং এফসি-কে ৫-১ হারালেও সেই ম্যাচেও সেট পিস থেকে গোল খায় ইস্টবেঙ্গল। গোলকিপার মিরশাদ মিচু যে পোস্টে দাঁড়িয়েছিলেন সে দিক দিয়েই বল গোলে ঢোকে। তাই সেটপিসের এই ভূত তাড়াতে আসরে নেমেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
মহড়া: অনুশীলনে একাগ্র
যদিও ইস্টবেঙ্গল শিবিরে এ দিন কেউ কথা বলেননি। কোচের নির্দেশে ফুটবলারদেরও মুখে কুলুপ। এই পরিস্থিতিতে এ দিন অনুশীলনে হাজির ছিল গোটা দলই। গত মরসুমের মতোই দূষণ এড়িয়ে নিজের সহনশীলতা দ্রুত বাড়াতে এ দিন ‘মাস্ক’ পরে অনুশীলন করতে দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার এদুয়ার্দোকে।
ইস্টবেঙ্গলে যখন চার্চিল ব্রাদার্স ম্যাচের প্রস্তুতি তখন মোহনবাগানে আশঙ্কা ফুটবলারদের চোট-আঘাত। সনির চোট এখনও সারেনি। হাঁটুতে এখনও ব্যথা রয়েছে। এ দিন বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে দলের অনুশীলনে পুরো দমে ছিলেন না তিনি। কুঁচকিতে চোট রয়েছে ক্রোমার। সাইডম্যাক অরিজিৎ বাগুই-এর চোট রয়েছে। বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ লাজং এফসি। মোহনবাগান শিবির সূত্রে খবর, বুধবার সকালে অনুশীলনে চোটের পরিস্থিতি দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সনি ও ক্রোমাকে নিয়ে।
এ দিন জন্মদিন ছিল মোহনবাগানের কোচ সঞ্জয় সেন ও তাঁর সহকারী শঙ্করলাল চক্রবর্তীর। অনুশীলনে দুই কোচকে অবাক করে দিয়ে ‘গার্ড অব অনার’ দেন ফুটবলাররা। পরে কেক কাটা হলে সনিকে কেক খাইয়ে দেন মোহনবাগান কোচ।