চোখের জলে মোহনবাগানকে বিদায় জানালেন সনি নর্দে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
মোহনবাগানকে বিদায় জানালেন ‘ম্যাজিশিয়ান’। বহু চেষ্টা করেও সমর্থকদের আবেগের সামনে চোখের জল লুকিয়ে রাখতে পারলেন না সনি নর্দে। সদস্য-সমর্থক-সাংবাদিকদের সামনে হাউহাউ করে কেঁদেই ফেললেন তিনি।
এ দিনই মোহনবাগান তাঁবুতে সনির শেষ সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। আই লিগ এবং ফেড কাপ দেওয়া ফুটবলারকে বিদায় জানাতে সোমবারের পড়ন্ত বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য সমর্থক।
সপ্তাহের প্রথম দিন হলেও প্রিয় তারকাকে বিদায় জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন সমর্থকরা। ক্লাব লন থেকে ক্লাবের বাইরে পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিলেন অগণিত সবুজ-মেরুন সমর্থক। প্রত্যেকের হাতে বা মুখেই ছিল ‘সনি মুখোশ’।
তবে, খালি হাতে তারকাকে বিদায় জানাননি তাঁরা। পুষ্পস্তবক থেকে সনির বাঁধানো ছবি— সবই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল।
সমর্থকের হাত থেকে মুখোশ পরলেন সনি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
সমর্থকদের আবেগে আপ্লুত সনিও পাল্টা ভালবাসা দিলেন বিদায় বেলায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “সমর্থকদের এই ভালবাসা ভুলে যাওয়ার নয়। বিশ্বে অন্যান্য ক্লাবের সঙ্গে মোহনবাগানের তুলনা করা গেলেও, এর সমর্থকদের কোনও ক্লাবের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।”
আরও পড়ুন: ‘বিরতিতে বলেছিলাম, ধরে নাও ম্যাচ ০-০’
আরও পড়ুন: সনিকে গোল উৎসর্গ ডিকার, হারের দায় নিলেন খালিদ
ক্লাব কর্তাদের প্রতিও এ দিন নিজের কৃতজ্ঞতা জানান সনি। ম্যাজিশিয়ানের কথায়, “কর্মকর্তারা সব সময়ই আমার পাশে ছিলেন। বিভিন্ন রকম সাহায্য পেয়েছি ওঁদের কাছ থেকে।”
শেষ দিনেও উঠে এল ব্যারেটোর সঙ্গে তাঁর তুলনার প্রসঙ্গ। তবে, সবুজ-তোতার সঙ্গে নিজের তুলনার কথা মানতে রাজি হলেন না সনি। স্পষ্ট ভাবে জানালেন, ব্যারেটোর জায়গা নিতে মোহনবাগানে আসেননি, তিনি চেয়েছিলেন নিজের মতো করে সেরা খেলাটা দলকে দেওয়া।
তিনি চলে গেলেও মোহনবাগানের আই লিগ দৌড়ে যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না এ দিন তা-ও জানান সনি। তিনি বলেন, “যে ভাবে দল গতকাল ডার্বি জিতেছে, তা এক কথায় অনবদ্য। তিন পয়েন্ট এসেছে এটাই বড় বিষয়। এই ফর্ম ধরে রাখতে হবে। এই দলে আমি না থাকলে বিশেষ কিছু সমস্যা হবে না। আমি ছাড়াও যাঁরা আছেন, তাঁরা দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারবেন।”
তবে, বিদায়বেলায় মোহন সমর্থকদের আশ্বস্ত করলেন সনি। সুস্থ হয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মোহনবাগানে তিনি যোগ দেবেন— এ কথাই বলে গেলেন শেষ মুহূর্তে।