সনি নর্দে। —ফাইল চিত্র।
আই লিগের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জো়ড়া গোল করা স্ট্রাইকার মেক্সিকোর এনরিকে এসকুয়েদার প্রশংসা করলেন সনি নর্দে। সোমবার বিকেলে অনুশীলনের পর হাইতি তারকা বলে দিলেন, ‘‘আমি আই লিগের সব ম্যাচ দেখছি। ইস্টবেঙ্গল এ বার যথেষ্ট শক্তিশালী দল তৈরি করেছে। ওদের এনরিকেকে প্রথম ম্যাচে দেখলাম। ভাল স্ট্রাইকার। গোলটা চেনে। তবে মোহনবাগান ড্র করলেও যথেষ্ট ভাল খেলেছে গোকুলমের বিরুদ্ধে। বাইরের মাঠে এক পয়েন্ট। শুরুটা খারাপ হয়নি আমাদেরও।’’
দুই প্রধানের প্রথম ম্যাচ নিয়ে তাঁর মনোভাবের কথা বললেও নিজের লক্ষ্যের কথা বলতে চাননি সনি। বলে দিলেন, ‘‘আমাকে আগে মাঠে নামতে দিন। তার পর তো নিজের লক্ষ্যের কথা বলব। আমি কখও কী করব সেটা আগে বলি না। করে দেখাই। এখন শুধু অনুশীলন করছি। মাঠে নামিনি। খুব তাড়াতাড়িই ম্যাচে নামব আশা করছি।’’
কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী নানা পরীক্ষার পর সনিকে নেওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন কর্তাদের। বুধবারই সম্ভবত তাঁর নথিভুক্তি হবে মোহনবাগানে। তবে চোট পাওয়া আর এক বিদেশি ইউতা কানওয়াকিকে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জাপানি ফুটবলারটির চোটের অবস্থা কেমন তা নিয়ে আজ মঙ্গলবার কোচের সঙ্গে বসতে পারেন কর্তারা। শঙ্করলালের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করছে ইউতার ভবিষ্যৎ।
ক্লাব নির্বাচনের পরের দিন। রবিবার বেশি রাত পর্যন্ত ভোট গণনা চলেছে। তা সত্ত্বেও নির্বাচিত কর্তাদের কয়েকজন হাজির ছিলেন মাঠে। জনা পঞ্চাশ সদস্য-সমর্থকও এসেছিলেন। সবার চোখ ছিল সনির দিকে। কোঝিকোড়ে খেলে আসা ফুটবলারদের রিকভারিতে পাঠিয়ে বাকিদের অনুশীলন করানো হয় এ দিন। ছোট মাঠ করে খেলানোর পাশাপাশি সনিকে আলাদা করে অনুশীলনে পরীক্ষা করেন সবুজ-মেরুন কোচ। আঠারো গজ বক্সের ভিতর পাঁচটি বল বসিয়ে গোলে কিক মারতে পাঠানো হয় সনিকে। যে পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই ডান পায়ের শক্তি দেখতেই কিক মারতে বলেন শঙ্করলাল। দু’টি কিকে গোল করেন তিনি। একটি পোস্টে লাগে। বাকি দুটি বাইরে যায়।
মোহনবাগানের পরের ম্যাচ যুবভারতীতে ৩ নভেম্বর। প্রতিপক্ষ আইজল। এই ম্যাচে সনিকে খেলানো হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি মোহনবাগান কোচ। যা খবর, সম্ভবত ১০ নভেম্বর ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে তাঁকে শেষ দিকে খেলানো হবে। হয়তো দশ-কুড়ি মিনিটের জন্য। এ দিন চোট পাওয়া হেনরি কিসেক্কাকে পরীক্ষা করেন দলের ডাক্তার। তাঁর চোট গুরুতর নয়। ইউতাকে ছেড়ে দেওয়া হবে এ রকম কোনও বার্তা অবশ্য তাঁকে দেওয়া হয়নি। তবে গোকুলম ম্যাচের পর বিদেশি স্টপার নেওয়ার দাবি জোরদার হওয়ায় কর্তারা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। ইউতাকে কতদিন পর পাওয়া যাবে তা কোচের কাছে জানার পরই তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
মোহনবাগান নিজেদের মাঠে অনুশীলন করলেও, শিলংয়ে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের এ দিন ছুটি দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। জনি আকোস্তারা শহর ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। পয়লা নভেম্বর পাহাড়ে লাল-হলুদের দ্বিতীয় আই লিগ ম্যাচ শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে।
এ দিকে নির্বাচন শেষ হলেও মোহনবাগানের ভাড়ার শূন্য বলে জানাচ্ছেন কর্তারা। নির্বাচনী খরচের পর রয়েছে লাখ সাতেক টাকা পড়ে আছে তহবিলে। স্পনসরও নেই। ৩১ অক্টোবর নতুন কর্মসমিতির প্রথম সভা। সেখানে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ঠিক করা হতে পারে।