সারা মরসুম তিনি আশাবাদী ছিলেন। বরাবর বলে আসছিলেন বাংলার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু তাঁর আশা অনুযায়ী বাংলা তেমন কিছু করতে পারল কই? উল্টে লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে বাংলা বরং অবনমনের সামনে দাঁড়িয়ে।
মরসুমের শেষ রঞ্জি ম্যাচ খেলতে নামার আগে সিএবি যুগ্মসচিব স্বীকারই করে নিলেন, বাংলা দল এ বার ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। বৃহস্পতিবার রাতে ইডেনের ক্লাব হাউসে দাঁড়িয়ে বললেন, “বাংলার অবনমনের আশঙ্কা তো আছেই। সরাসরি হারলে তেমনটা হয়েও যেতে পারে। তবে অবনমন হোক, না হোক, স্বীকার করতেই হবে, বাংলা এই মরসুমে ভাল খেলতে পারেনি। আশা করি ভবিষ্যতে ভাল খেলবে।”
শেষ ম্যাচ মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে, তাদের ঘরের মাঠে। এমন ডু অর ডাই ম্যাচে দলের কম্বিনেশন কী হতে পারে, তা অবশ্য সৌরভ টিম ম্যানেজমেন্টের উপরই ছেড়ে দিচ্ছেন। নিজে এই ব্যাপারে নাক গলাতে চান না। এ দিন বলছিলেন, “দেখুন, আমি এখন প্রশাসক। প্লেয়ার নই। তাই আমি জানি না আমার টিম কী রকম! সব কাজ তো আর একসঙ্গে করা যায় না। আমি ওদের একটা টিম করে দিয়েছি। এ বার ওরাই ঠিক করুক কী কম্বিনেশনে খেলবে। তা ছাড়া সব সময় টিমের ব্যাপারে নাক গলানো উচিত নয়?” নিজের চিন্তা বাংলার অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেও রাজি নন সৌরভ। বললেন, “আমার এক রকম চিন্তা আর ক্যাপ্টেনের অন্য রকম চিন্তা, দুটো নাও মিলতে পারে। মাঠে ওরা যখন খেলছে, ওদের চিন্তাভাবনা অনুযায়ীই খেলবে। তবে টিম যে অবস্থায় আছে, তাতে অবনমনের আশঙ্কা থাকলেও অবনমন হবে বলে মনে হচ্ছে না। ঠিকই বাঁচিয়ে নেবে।”
বাংলাকে নিয়ে ভাবনা থাকলেও সৌরভের ফোকাস এখন আসন্ন বিশ্বকাপেও। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে টিভি কমেন্ট্রি করতেও দেখা যাবে তাঁকে। নিজে ব্যাটসম্যান বলে ব্যাটসম্যানদের উপর নজরও থাকবে তাঁর। কোন কোন ব্যাটসম্যান? সৌরভ বললেন, “কোহলি, ডেভিলিয়ার্স, স্মিথ, ক্লার্ক, সঙ্গকারা, জয়বর্ধনে, বেল, আমলা, দুপ্লেসির দিকে নজর থাকবে।”
কিন্তু আইসিসি ব্যাটসম্যানদের দাপট কমানোর জন্য যে ব্যাটের স্থুলতার উপর নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে? তা নিয়ে সৌরভ বললেন, “ব্যাটের কাঠের স্ট্যান্ডার্ড এখন এত ভাল হয় যে, পাতলা ব্যাটেও ছয় মারা যায় এখন। আলাদা করে সেটার প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না।” ক্রিকেটের নিয়মকানুন নিয়ে যেখানে আলোচনা হয়, সেই এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটিতে রয়েছেন সৌরভ। সেখানে এই নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেই জানালেন। বললেন, “আমাদের তো এখনও একটাও বৈঠক হয়নি। অ্যাসেজ সিরিজ শুরুর আগে হবে।” সৌরভের ধারণা, “বিশ্বকাপে এটা কী করে সম্ভব? এটাকে আইনে পরিণত করতে হবে, তার পর তো হবে। এত তাড়াতাড়ি সেটা সম্ভব নয় বোধহয়।”