Cricket

দাদা কাল বার্থডে বয়, উইশ করুন, কুইজ লড়ুন

সৌরভ মানেই বাইশ গজে প্রতিবাদ। সৌরভ মানেই হার-না-মানা জেদ। সৌরভ মানে আদ্যন্ত বাঙালিয়ানাও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৮ ১৩:০০
Share:

কাল ৪৬ পূর্ণ করবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।

দাদার জন্মদিন। আজ নয় কাল। ৮ জুলাই তাই বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে হৃদয়ের অত্যন্ত কাছের দিন। তিনি না থাকলে বাংলার ক্রিকেট যে পড়ে থাকত তৃতীয় বিশ্বের অবহেলিত প্রতিনিধি হিসেবেই। বাঙালিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারে নাকি, সর্বভারতীয় স্তরে চিরন্তন হয়ে উঠত খোঁচা!

Advertisement

এবার অবশ্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতায় নেই। ইংল্যান্ডে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তিনি। শহরে থাকলে বেহালা চৌরাস্তায় বীরেন রায় রোডের বাড়ি চেহারা নেয় উত্সবের। এবার তেমন আবহ থাকার প্রশ্নই নেই। ৪৭-এ পা দেওয়ার দিন তাঁর ঠিকানা বিলেত। পাল্টেছে ভূমিকাও। ক্রিকেটার নন, এখন তিনি প্রশাসক। সিএবি-র প্রেসিডেন্ট।

তবে সৌরভ শহরে থাকুন আর নাই থাকুন, ক্রিকেটার থাকুন বা প্রশাসক হয়ে উঠুন, তাঁকে নিয়ে বাঙালির, বাংলার গর্ব একইরকম থেকে গিয়েছে, থেকে যাবেও। সৌরভ মানেই দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই। সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে হার-না-মানা জেদ। অনন্ত চাপেও লড়াই না-ছাড়ার সঙ্কল্প। মহাকাব্যিক ফেরার লড়াই। অফসাইডে রাজকীয় ঔদ্ধত্যও।

Advertisement

বাঙালিও যে ক্রিকেট খেলতে পারে, এটা প্রমাণের জন্যই দরকার ছিল সুরভিত উত্থানের। মুম্বই, দিল্লির বাইরেও কেউ জাতীয় দলের অধিনায়ক হতে পারে, সাফল্যের সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকতে পারে কাঁটার মুকুট পরে, এটা দেখানোর জন্যও প্রয়োজন ছিল তাঁর। সৌরভ মানেই বুকের ভিতরে জ্বলতে থাকা আগুন। সৌরভ মানে প্রতিবাদও। কখনও তা হয়ে ওঠে লর্ডসে জামা খুলে ঘোরানো। যাতে মিশে যায় ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বার্তা।

কখনও কখনও ভুগতেও হয়েছে প্রতিবাদী চরিত্রের জন্য। গুরু গ্রেগের ক্ষমতা দখলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো অস্তিত্বের সঙ্কটে ফেলে দিয়েছিল কেরিয়ারকেই। সৌরভ লড়াইয়ে ইস্তফা দেননি। বরং আস্থা রেখেছিলেন নিজের ক্ষমতায়। বিশ্বাস করেছিলেন নিজেকে। সেজন্যই ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা প্রত্যাবর্তন তাঁর। যা গড়পড়তা মানুষকে দিয়েছিল বার্তা, হাল না ছাড়ার, নিজের ওপর বিশ্বাস না হারানোর।

আরও পড়ুন: ধোনি না সৌরভ, কে সেরা টেস্ট অধিনায়ক, কী বলছে পরিসংখ্যান

সৌরভ মানে বাঙালিয়ানাও। প্রেমের জন্য লড়াই প্রথমে। তারপর স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে সুখের সংসার। বাবা-মা-দাদার পারিবারিক বন্ধন। পাজামা-পঞ্জাবি থেকে বিরিয়ানি, একেবারে পাশের বাড়ির ছেলের মতোই। শুধু ব্যাট হাতে নিলেই পালটে যায় চেহারা। চাপে পড়লে ছিটকে বেরিয়ে আসে মানসিক কাঠিন্য। চেনাকেও দেখায় অচেনা।

সৌরভ তাই আর নিছক বাইশ গজের ক্রিকেটারে সীমাবদ্ধ থাকেননি। হয়ে উঠেছেন বঙ্গ-চেতনার ব্যতিক্রমী মশাল। মনের জোরে বিশ্বজয়ের প্রতীক। দাদাগিরির নায়ক। সুরভিত রূপকথা ছাড়া আর কী!

আরও পড়ুন: ধোনি-বিরাট দাপটেও হার, সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড​

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন