২০০১ সালে শেষ বার ট্রেনে সফর করেছিলেন সৌরভ। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
গন্তব্য ছিল বালুরঘাট। সেখানকার স্টেডিয়ামে নিজের পূর্ণাবয়ব মূর্তি উদ্বোধন। প্রায় বছর ষোলোর ব্যবধানে প্রথম ট্রেনযাত্রা। সেই যাত্রা শুরুর আগেই আসন বিভ্রাটে সহযাত্রীর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষমেশ অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিল রেলপুলিশ। নিজের আসনে বসেই গন্তব্যে পৌঁছলেন সৌরভ।
গত শনিবার বালুরঘাটে নিজের মূর্তি উদ্বোধন-সহ একাধিক কর্মসূচি ছিল সৌরভের। আর তার জন্যই শুক্রবার পদাতিক এক্সপ্রেসে করে বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সময় মতো শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে ভক্তদের ভিড়, সামলে উঠে বসেন প্রথম শ্রেণির এসি কামরায়। কিন্তু যে কামরায় তাঁর আসন সংরক্ষিত ছিল, ভুল করে অন্য কামরায় ওঠেন তিনি। কামরায় উঠে দেখেন ‘তাঁর আসনে’ বসে রয়েছেন এক ব্যক্তি। আসন নম্বর মিলে যাওয়ায় সৌরভ তাঁকে উঠে যেতে বললেও ওই যাত্রী তা মানতে রাজি হননি। শুরু হয় তর্কাতর্কি। জমতে থাকে উত্সুক যাত্রীদের ভিড়। ঘটনা সামাল দিতে ছুটে আসেন রেলপুলিশের কর্মীরা। আসেন টিকিট পরীক্ষকও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁরাই ভুল ধরিয়ে সৌরভকে পাশের কামরায় নিয়ে যান। এর পর মালদহে নেমে গাড়িতে করে বালুরঘাটে পৌঁছন সৌরভ।
আরও পড়ুন
শাস্ত্রীয় মতে বোলিং কোচ ভরত, জাহিরদের নিয়ে ধোঁয়াশা
পদাতিক এক্সপ্রেসে সৌরভ।
বালুরঘাট স্টেডিয়ামে নিজের আট ফুট উঁচু মূর্তি উদ্বোধন করেন সৌরভ। ২০০৩-এ ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করা টেস্ট সেঞ্চুরির মুহূর্তকে মনে রেখে সৌরভের ওই মূর্তি গড়েছেন শিল্পী সুশান্ত পাল। এর পর বিভিন্ন কর্মসূচি সেরে বালুরঘাট ছাড়েন সৌরভ।
এর আগে ২০০১ সালে ট্রেনে সফর করেছিলেন তিনি। তখন অবশ্য তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক। সে বার বিশাখাপত্তনম থেকে একদিনের ম্যাচ খেলে ট্রেনে চড়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। এ বারের ট্রেন সফরের সহযাত্রীর সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তা নিয়ে মন্তব্য করেননি সৌরভ।