প্রত্যাশামতো পরিবর্তন হয়নি। তাই কোনও বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা দূরের কথা, সে রকম কোনও প্রতিযোগিতার জন্য ‘বিড’ও করতে পারবে না ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা!
দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোয় কত দ্রুত কতটা পরিবর্তন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে এমিনেন্ট পার্সন্স গ্রুপ (ইপিজি) নামক একটি স্বাধীন সংস্থা গঠন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রীরা। সেই সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ক্রিকেট-সহ অন্যান্য খেলার পরিকাঠামো ঠিকঠাক সময়ের মধ্যে বদলানো যায়নি। যার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী ফিকিলে বালুলা দেশের ক্রিকেট বোর্ডের উপর এই নজিরবিহীন শাস্তি চাপিয়ে দিলেন। একই শাস্তির মুখে রাগবি, নেটবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। আগামী বছর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এমনিতে ২০২৩ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা নয়। তবে ২০২০ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে তারা। এই শাস্তির জেরে ক্রিকেট বোর্ডের যা অবস্থা হল, তাতে ক্রীড়ামন্ত্রীর ছাড়পত্র না পেলে অন্য কোনও টুর্নামেন্ট নিয়ে আগ্রহও দেখাতে পারবে না তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রীড়া সংস্থার ‘বিগ ফাইভ’-এর সদস্য তাদের ক্রিকেট বোর্ড গত বছর মে মাসে ক্রীড়া মন্ত্রকের সঙ্গে মউ সই করে। যার মর্মার্থ ছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে পরিকাঠামোয় নানা রকম বদল আনা। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, যে কোনও জাতীয় পুরুষ টিমে অন্তত ষাট শতাংশ সদস্যকে কৃষ্ণাঙ্গ হতে হবে। ক্রিকেট বোর্ড যে টার্গেট পুরো করতে পারেনি। ক্রিকেট টিমের ৫৫ শতাংশ সদস্য কৃষ্ণাঙ্গ।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মাপকাঠি ছিল কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের টিমে রাখা। যা সে দেশের অত্যন্ত আলোচিত এবং জরুরি বিষয়।