নায়ক: সিরিজ সেরা এলগারকে অভিনন্দন বিপক্ষের। গেটি ইমেজেস
হার প্রত্যাশিতই ছিল। মাত্র আড়াই দিনেই জোহানেসবার্গ টেস্টের ফয়সালা হয়ে গেল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতেই নতুন বছরের অভিযান শুরু হল কুইন্টন ডি’ককদের দক্ষিণ আফ্রিকার।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কা হারল ১০ উইকেটে। জয়ের জন্য ৬৭ রান তাড়া করতে ডিন এলগার (যিনি আবার ম্যাচেরও সেরা) এবং আইদেন মারক্রাম নিলেন ১৩.২ ওভার। উল্লসিত অধিনায়ক ডি’কক বলেছেন, “২০২০ সালটা মোটেও ভাল যায়নি। তাই নতুন বছরে দলের থেকে এমনই একটা দুর্দান্ত ক্রিকেট আশা করেছিলাম। আমি সন্তুষ্ট।”
সোমবার দ্বিতীয় দিনের শেষেই শ্রীলঙ্কার হারের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। লুনগি এনগিডি, অনরিখ নোখিয়া এবং লুথো সিপামলার গতির বিরুদ্ধে একাই লড়াই করছিলেন লঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। এ দিন তিনি ফিরলেন ১০৩ রান করে। ১২৮ বলের ইনিংসে ছিল ১৯টি চার। তিনি ছাড়া নিরসন ডিকওয়েলা ৩৬ রান করেন। ৫৬.২ ওভারের মধ্যে ২১১ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। এনগিডি চার এবং সিপামলা তিন উইকেট নিয়েছেন।
কিন্তু টানা দুই টেস্টে কেন এই বিপর্যয়? করুণারত্নে জানিয়েছেন, অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ, দীনেশ চণ্ডীমল এবং সুরঙ্গের মতো ক্রিকেটারেরা না থাকার কারণে দলকে প্রতি মুহূর্তে ভুগতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, “টেস্ট সিরিজ হারের যন্ত্রণা তো থাকবেই, তবে তার মধ্যে কিছু ইতিবাচক বিষয়ও রয়েছে। আশা করি, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাঞ্জেলো, চণ্ডীমল ফিরে আসবে। ঘরের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ডকে হারানোর চেষ্টা করব।”
ম্যাচ এবং সিরিজের সেরা ডিন এলগার বলেছেন, “খেলতে নামার পরে মনে হয়েছিল, পরিকল্পনা মাফিক উইকেটে থাকতে পারলে বড় রান নিশ্চয়ই পাব। তা ছাড়া এ বার ঘরোয়া ক্রিকেটেও টানা রানের মধ্যে ছিলাম। তাই মনে হয়েছিল, এই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে।”