আবির্ভাব: শহরে পা রেখে স্পেনের বোরহা। —নিজস্ব চিত্র।
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের চনমনে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। রবিবার সন্ধেতেই কলকাতায় চলে এলেন ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় ডিফেন্ডার বোরহা গোমেজ় পেরেজ়। নয়া বিদেশি ডিফেন্ডার শহরে আসার দিনেই লাল-হলুদ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস ঘুরে এলেন কল্যাণী। সেখানে গ্যালারিতে বসে দেখলেন পিয়ারলেস বনাম রেনবো ম্যাচ।
এ দিন সন্ধে সাতটা পঁচিশ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন বোরহা। জেটল্যাগের জন্য কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল সের্খিয়ো র্যামোসের ভক্ত ছয় ফুট এক ইঞ্চি উচ্চতার এই ডিফেন্ডারকে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে কর্তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। ক্লান্তি সত্ত্বেও তাঁদের অভিনন্দন হাসি মুখেই গ্রহণ করেন রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলে খেলা এই ফুটবলার। এর পরেই ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট আস্তানার দিকে রওনা দেন তিনি। লাল-হলুদ শিবিরের বর্তমান কোচ আলেসান্দ্রোর কোচিংয়ে দু’বছর খেলেছেন বোরহা। ।
অন্য দিকে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ফুটবলার নেওয়ার ব্যাপারে ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞার জবাবে আবেদন করছে ইস্টবেঙ্গল। দু’একদিনের মধ্যেই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলবে ক্লাব। ইতিমধ্যেই ক্লাব সদস্যদের একাংশের প্রশ্ন, সুখদেবের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটিতে ছিলেন এ বছরের ‘মোহনবাগান রত্ন’ প্রদীপ চৌধুরী। তিনি কী ভাবে এই কমিটিতে থাকেন? ফেডারেশন শাস্তি ঘোষণার আগেই মিনার্ভা মালিক রঞ্জিত বাজাজ কী ভাবে তা টুইট করে দেন? প্রদীপবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি গত বছর থেকেই ওই কমিটিতে আছি। নিজের স্বচ্ছতা সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল।’’ আর রঞ্জিত বাজাজ বলছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে খবর শুনেই টুইট করেছিলাম।’’
এ দিকে, বোরহা কলকাতা আসার দিনে মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে সনি নর্দে নিয়ে শুরু হল জল্পনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সনি জানালেন, ‘‘মোহনবাগানে সই করলে সমর্থকদের জন্যই আসব।’’