অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্তারা ওপি জৈশার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও ব্যাপারটা এখানেই মিটছে না।
ভারতীয় ম্যারাথনারের অভিযোগের তদন্ত করতে দুই সদস্যের কমিটি গড়ল ক্রীড়া মন্ত্রক।
রিও অলিম্পিক্স থেকে ফিরেই ভারতের অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে উপেক্ষার অভিযোগ এনেছিলেন জৈশা। বলেছিলেন, কোনও জল বা এনার্জি ড্রিংক পাননি দৌড়নোর সময়। প্রচণ্ড গরমে সে দিন সকাল ন’টা থেকে দৌড়তে হচ্ছিল। ফলে শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তিনি মরেও যেতে পারতেন। অন্য সব দেশের অ্যাথলিটদের জন্য আড়াই কিলোমিটার অন্তর নির্দিষ্ট স্টলে জল, এনার্জি ড্রিংকস নিয়ে তাঁদের অফিসিয়ালরা ছিলেন। কিন্তু জৈশার জন্য সে রকম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভারতের স্টল ফাঁকাই ছিল। ফলে ৮৯ নম্বরে ম্যারাথনের ফিনিশিং লাইন পার করার পরেই জৈশাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। ঘণ্টা তিনেক অচৈতন্যও ছিলেন তিনি।
অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্তারা যার পাল্টা জবাবে বলেছিলেন, ইভেন্টে নামার আগের দিন জৈশা নিজেই কোনও ব্যবস্থা রাখতে বারণ করে দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ‘‘ওপি জৈশার অভিযোগের তদন্তে যুব এবং ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী বিজয় গোয়েল দুই সদস্যের একটি কমিটি গড়েছেন। যাতে আছেন যুগ্ম ক্রীড়াসচিব ওঙ্কার কেদিয়া ও স্পোর্টস ডিরেক্টর বিবেক নারায়ণ।’’ সাত দিনের মধ্যে এই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।
আ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্তাদের জবাবের উত্তরও দিয়েছেন জৈশা। তিনি বলেছেন, ‘‘এত দিন ধরে অ্যাথলেটিক্সে আছি। কোনও দিন তো অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। এখন কেন মিথ্যে অভিযোগ করব? আর অভিযোগ মিথ্যে হলে তো আমার কেরিয়ারটাই শেষ হয়ে যাবে।’’ উল্টে তাঁর ইঙ্গিত, এএফআই-কর্তারাই মিথ্যে বলছেন। ‘‘জানি না মিথ্যে বলে এএফআইয়ের কী লাভ হচ্ছে। সরকারের সামনে ওরা নিজেদের অন্য ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।’’