নজরে: লিলি এখন তৈরি হতে চান কমনওয়েলথের জন্য। ফাইল চিত্র
দু’জনেই বাংলার মেয়ে। একজন ত্রিবেণীর। অন্য জন রায়গঞ্জের। চেন্নাইয়ে জাতীয় ওপেন অ্যাথলেটিক্স মিটে দু’জনেই নিজের বিভাগে সোনা জিতে এলেন। তবে প্রথম জন, লিলি দাশ নেমেছিলেন রেলের হয়ে। অন্য জন সনিয়া বৈশ্য সেরা হলেন বাংলার জার্সি পরে।
শারীরিক সমস্যা ছিল। তাই সল্টলেক সাই সেন্টারে নির্বাচিত হয়েও যোগ দেননি সনিয়া। নিজেই চলে গিয়েছিলেন আগরতলায়। সেখানে তিন মাস বাড়ি ভাড়া করে সাই-এর পুরানো কোচ অরবিন্দ দে-র কাছে অনুশীলন করে বাংলাকে সোনা এনে দিলেন তিনি। মেয়েদের ৪০০ মিটার বিভাগে সোনা জেতেন রায়গঞ্জের এই অ্যাথলিট। সময় করলেন ৫৩.৯৮।
সনিয়ার সোনা প্রাপ্তি কিছুটা অপ্রত্যাশিত হলেও লিলি-র সাফল্যে চমক নেই। সাইয়ের কল্যাণ চৌধুরীর ছাত্রী ৮০০ মিটারে প্রথম হলেন ২ মিনিট ০৪.৫১ সেকেন্ড সময় করে। শুক্রবার কলকাতায় ফিরে লিলি বললেন, ‘‘এটা আমার জীবনের দ্বিতীয় সেরা সময়। এটাই এই মরসুমের শেষ টুনার্মেন্ট ছিল। তাই অখুশি নই। এ বার আমি কমনওয়েলথ গেমসের জন্য প্রস্তুতি নেব।’’ কল্যাণবাবুর আর এক ছাত্রী শিপ্রা সরকার এই বিভাগে রুপো জিতেছেন। শিপ্রাও রায়গঞ্জের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ম্যাথুর থ্রো গিয়ে লাগল রোহিতের হেলমেটে, দেখুন ভিডিও
সনিয়ার মতোই চমকে দিলেন আভা খাটুয়া। একসময় তাঁকে পিঙ্কি প্রামানিকের মতোই কলঙ্কিত করার চেষ্টা হয়েছিল। বিতর্কের ভয়ে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। এক বছর পর ফের তাঁকে ফিরিয়ে আনেন সাই কোচ সুভাষ সরকার। সল্টলেক যুব আবাসের ডরমিটরিতে থাকেন আভা। কঠোর পরিশ্রমের ফল পেলেন তিনি মেয়েদের হেপ্টাথলনে ব্রোঞ্জ জিতে।