রবিচন্দ্রন অশ্বিন। -ফাইল চিত্র।
জীবনের ৫০তম টেস্ট ম্যাচটি খেলতে চলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বুধবার গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। আর সেটাই হতে চলেছে দেশের সেরা বোলারের টেস্ট ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরি। দীর্ঘদিন এক নম্বরে থাকার পর এ বার সেই জায়গা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন সতীর্থ রবীন্দ্র জাডেজার জন্য। দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সদ্য সেই জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে রঙ্গনা হেরাথকে। নেমে গিয়েছেন তিন নম্বরে। তা বলে তাঁর কৃতিত্ব কোথায় কমেনি। বরং ভারতীয় বোলিং ডিপার্টমেন্টের তিনিই বড় ভরসা। সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন বুধবার খেলতে নামছেন তাঁর ৫০তম টেস্ট। তার আগে একঝলকে দেখে নেওয়া যাক অশ্বিনের সেরা কিছু ইনিংস।
আরও খবর: যুবরাজের ছয় ছক্কা মনে করালেন রস হোয়াইটলি
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১১
ঘরের মাঠে এটাই ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অভিষেক ম্যাচ। জীবনের প্রথম টেস্টেই ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংস অবশ্য লেখা ছিল প্রজ্ঞ্যান ওঝার নামে। ছ’উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর দ্বিতীয় ইনিংস ছিল অশ্বিনের। তিনিও নিয়েছিলেন ছ’উইকেট। ৪৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে তাঁর উইকেট ছিল ১২৮ রানে ৯। নরেন্দ্র হিরওয়ানির পর তিনিই দ্বিতীয় বোলার যাঁর অভিষেকেই এই উইকেট এসেছিল। সেটা হয়েছিল ১৯৮৮তে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই। তাঁর উইকেট ছিল ১৩৬ রানে ১৬।
অস্ট্রেলিয়া, ২০১৩
অশ্বিনের এর পর সেরা স্পেল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সেটাও ঘরের মাঠে। চেন্নাইয়ে। সিরিজের ডিসাইডিং ম্যাচ ছিল এটা। সেই সময় অশ্বিনের টেস্ট বোলিং কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল বিস্তর। কিন্তু বল হাতে নেমে মাঠেই জবাব দিয়েছিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি সেরা হয়ে উঠে আসছেন। দুই ইনিংসে অশ্বিনের বোলিং ছিল ১০৩/৭ ও ৯৫/৫। এক টেস্টে মোট ১২ উইকেট। অশ্বিন সিরিজ শেষ করেছিল ২৯ উইকেট নিয়ে। সিরিজের সেরাও হয়েছিলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা, ২০১৫
এ বার বিদেশের মাটিতে ছিল প্রমাণ করার পালা। যদিও তার আগেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সম্পদ তিনি। সেই ম্যাচে পর পর বাকি সব বোলাররাই ফ্লপ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত হাল ধরেন অশ্বিন। ৪৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন। এই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে, এই গলেই। যেখানে ৫০তম টেস্ট ম্যাচটি খেলতে নামছেন অশ্বিন। তিনি শেষ করেন, ১৩.৪-২-৪৬-৬। এটাই ছিল বিদেশের মাটিতে অশ্বিনের সেরা বোলিং।
দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৫
নতুন বলে সে দিন ছিল অশ্বিনের দিন। প্রথম ইনিংসে ভারত ২০১এ অল-আউট হয়ে যাওয়ার পর হাল ধরেছিলেন তিনি। তৃতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকা ২১৫ রানের টার্গেট রাখে। দ্বিতীয় ইনিংসে রবীন্দ্র জাডেজা দরজাটা খুলে দিয়েছিলেন। বাকি কাজটি করে গেলেন অশ্বিন। কেরিয়ারের সেরা বোলিং স্পেল গুলির মধ্যে একটি, ৭/৬৬।
ইংল্যান্ড, ২০১৬
তখন তিনিই এক নম্বর টেস্ট বোলার। মুম্বইয়ে সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঠিক টি ব্রেকের পরই বল হাতে ভেলকি দেখাতে শুরু করেন অশ্বিন। মইন আলি ও কেটন জেনিংসের উইকেট নিয়েই শুরু। এর পর শেষ করেন ৬/১১২তে। দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের স্পেল ছিল ৯.৩-২-১৫-৬। যার ফলে ইনিংসে জিতে গিয়েছিল ভারত। ক্যারম বলে জনি বেয়ারস্টোকে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠানোটা আজও চর্চিত বিষয়।