শ্রীনি মামলা তুললেও আদালতে কড়া প্রশ্নের মুখে শশাঙ্কের বোর্ড

নতুন প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর গত কালই চেয়েছিলেন, শ্রীনিবাসন যেন আর মামলা-মকদ্দমার রাস্তায় না হাঁটেন। বোর্ড সচিবের বিরুদ্ধে করা মামলা যেন তুলে নেন। সোমবার দেখা গেল, তাঁর কথা মতো অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা তুলে নিলেন শ্রীনিবাসন। কিন্তু তাতে আদালতে বোর্ডের বিড়ম্বনা কাটল কই!

Advertisement
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৫৮
Share:

অনুরাগকে ছাড় শ্রীনির।

নতুন প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর গত কালই চেয়েছিলেন, শ্রীনিবাসন যেন আর মামলা-মকদ্দমার রাস্তায় না হাঁটেন। বোর্ড সচিবের বিরুদ্ধে করা মামলা যেন তুলে নেন। সোমবার দেখা গেল, তাঁর কথা মতো অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা তুলে নিলেন শ্রীনিবাসন। কিন্তু তাতে আদালতে বোর্ডের বিড়ম্বনা কাটল কই!
আদালতের কাছে এ দিন বোর্ড আইনজীবীরা জানতে চান, শ্রীনির স্বার্থ সংঘাত নিয়ে বিচারপতিরা কী ভাবছেন? এও জানতে চাওয়া হয়, শ্রীনি বোর্ডের বৈঠকে থাকতে পারবেন কি না। যে প্রশ্নে কলকাতার ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এর পরেই কিছুটা তিরস্কৃত হতে হয় বোর্ডের আইনজীবীকে।
শ্রীনিবাসনের বিষয়টা নিজেদের মধ্যে কেন মিটমাট করা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে ধরে আদালত। বিচারপতি টিএস ঠাকুর বলেছেন, ‘‘আমাদের এ ব্যাপারটা আর পরিষ্কার করার কিছু নেই। এ ব্যাপারে পরিষ্কার রায় দেওয়া হয়েছে। রায় দেওয়ার দিন (২২ জানুয়ারি, ২০১৫) আমরা জানিয়েছিলাম, তিনি (শ্রীনি) যোগ্য নন। এর পর যদি আপনারা মনে করেন তিনি এখনও যোগ্য নন, তা হলে সেই ধারণাটায় মজবুত থাকুন। যদি শ্রীনিবাসন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, লড়াই করুন। আমাদের কাছে কেন আসছেন? আপনারা তাঁকে নিয়ে যা মনে করছেন তাতে আমাদের সম্মতি কেন লাগবে?’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘এর অর্থ মিস্টার শ্রীনিবাসন প্রত্যেক বার কিছু করবেন আর আপনারা আমাদের কাছে আসবেন। আগামিকাল যদি শেয়ারের পরিকাঠামোয় তিনি কিছু পরিবর্তন করেন ফের আপনারা আমাদের কাছে আসবেন?’’ বোর্ড আরও চেয়েছিল, সে রকম হলে শ্রীনির ব্যাপারটা লোঢা কমিশনে পাঠানো হোক। আদালত সেই ব্যাপারটাও ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করছে।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই মনোহর জানিয়েছিলেন, তিনি শ্রীনি-সংসার সাফ করতে চান। সেই মতো দেখা গেল, আদালতেও বিসিসিআই শ্রীনি নিয়ে বেশ আক্রমণাত্মক স্টান্স ধরে রেখেছে। যেমন বলা হয়েছে, শ্রীনির বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ এখনও রয়েছে। বোর্ড সর্বোচ্চ আদলতকে এও জানিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিংগসের শেয়ার বণ্টনে পরিবর্তন আনার যে চেষ্টা শ্রীনির তরফে করা হয়েছে সেটা ‘চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা’। এখনও শ্রীনিবাসন কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের অভিযোগে পড়ছেন। তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে। তাই বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বা অন্য কোনও বৈঠকে শ্রীনি থাকতে পারেন না।

Advertisement

এর পরই আদালতের কাছে তিরস্কৃত হয় বোর্ড। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল যে, শ্রীনির আইনজীবী কপিল সিব্বল কিন্তু নিজেদের মধ্যেই ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার উপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ‘‘বিসিসিআই খুব গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। প্রকাশ্যে তার গায়ে কালি না লাগিয়ে এক সঙ্গে বসে সমাধান সূত্র খোঁজা হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন