রাজ্যের দুই মন্ত্রীর চাপে শেষ পর্যন্ত নিজেদের কলঙ্ক সামাল দিতে নামল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য টেবল টেনিস সংস্থা।
বডোদরায় জাতীয় জুনিয়র টিটি-র দলে রাজ্যে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরকে বাদ দিয়ে ন’নম্বরকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন বাংলার টিটি কর্তারা। আনন্দবাজারে সেই খবর বেরনোর পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। যার জেরে কর্তাদের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হল সোমবার। পরিস্থিতি যা তাতে নিজের বিভাগে রাজ্যের এক নম্বর খেলোয়াড় প্রাপ্তি সেন ফিরতে চলেছেন বাংলা দলে।
রাজ্য টিটি সংস্থার সচিব দেবীপ্রসাদ বসু বলে দিলেন, ‘‘আমরা সর্বভারতীয় সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। চেষ্টা করছি প্রাপ্তিকে দলে নেওয়ার। কী ভাবে নেওয়া যায় সেটা দেখছি।’’ ঘটনা হল, প্রাপ্তিকে বাংলা দলে এখন নিতে হলে নির্বাচিত আটজনের বর্তমান টিম থেকে একজনকে বাদ দিতে হবে। সেটা কে তা অবশ্য জানা যায়নি। আজ মঙ্গলবারই যাচ্ছে টিম।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন আগেই। এ দিন নবান্নে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ডেকে পাঠান টিটির সচিব দেবীবাবুকে। সেখানে ছিলেন রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদের সদস্য, আইনজীবী ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ক্রীড়ামন্ত্রী রাতে বললেন, ‘‘রাজ্য টিটি সংস্থায় নানা বেআইনি কাজ হচ্ছে শোনার পরেই ওদের সচিবকে ডেকে ছিলাম। প্রাপ্তিকে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে সেটাও বলেছি। উনি কথা দিয়ে গিয়েছেন মেয়েটিকে বাংলা দলে নেওয়া হবে।’’
উল্লেখ্য, স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার জন্য জাতীয় শিবিরে প্রথম দিন যোগ দিয়ে পরে আর আসতে পারেননি বেহালার ওই স্কুল ছাত্রী। সে জন্য তাকে বাদ দেওয়া হয়।
টিটি-তে এখন তিনটি রাজ্য সংস্থা বাংলায়। কর্তারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যস্ত। টাকা নিয়ে বাংলা দলে খেলোয়াড় ঢোকানোর অভিযোগ উঠছে। ফলে যে খেলা থেকে এই রাজ্যে পৌলমী ঘটক, মৌমা দাসরা উঠে এসেছেন, সেই খেলার হাল এখন খারাপ। জাতীয় স্তরে পদক সংখ্যা প্রতি বছরই কমছে। বিরক্ত হয়ে প্রচুর খেলোয়াড় চলে গিয়েছেন বা যাচ্ছেন বাংলা ছেড়ে। তিনটি সংস্থাকে এক করতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সভা ডাকছেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
অরূপবাবু বললেন, ‘‘খেলোয়াড়দের ক্ষতি হচ্ছে। বাংলা পিছিয়ে পড়ছে। তিন পক্ষকে নিয়ে সভা ডাকছি। একসঙ্গে সবাইকে চলতে হবেই। না হলে কোনও সাহায্য করব না।’’