একটা জয় থেকে বেশি কিছু ধরে নেওয়াটা বোকামি

এ রকম একটা দাপুটে জয়ই প্রয়োজন ছিল ভারতের। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যে যুদ্ধটা নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে তুমুল শোরগোল ছিল। গত দু’মাসে ঠিক যে জায়গাগুলো অদৃশ্য ছিল, সেগুলোই ফিরে এসেছে এমএস ধোনির টিমে ঠান্ডা মাথা, নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা আর খুব ভাল প্রস্তুতি। তার সঙ্গে একটা উদ্দেশ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও আছে। যেটা নিশ্চয়ই ভারতীয় সমর্থকদের মন ভরিয়ে দিয়েছে। তবে এটা সবে শুরু। একটা জয় থেকেই বেশি কিছু ধরে নেওয়াটা কিন্তু বোকামি হবে।

Advertisement

স্টিভ ওয়

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৫২
Share:

ভারতের বড় প্রাপ্তি শিখরের ফর্ম ফিরে পাওয়া।

এ রকম একটা দাপুটে জয়ই প্রয়োজন ছিল ভারতের। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। যে যুদ্ধটা নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে তুমুল শোরগোল ছিল। গত দু’মাসে ঠিক যে জায়গাগুলো অদৃশ্য ছিল, সেগুলোই ফিরে এসেছে এমএস ধোনির টিমে ঠান্ডা মাথা, নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা আর খুব ভাল প্রস্তুতি। তার সঙ্গে একটা উদ্দেশ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও আছে। যেটা নিশ্চয়ই ভারতীয় সমর্থকদের মন ভরিয়ে দিয়েছে। তবে এটা সবে শুরু। একটা জয় থেকেই বেশি কিছু ধরে নেওয়াটা কিন্তু বোকামি হবে।

Advertisement

ভারতের জন্য এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় দুটো প্রাপ্তি শিখর ধবনের ফর্মে ফেরা আর পেসারদের নজরকাড়া পারফরম্যান্স। ধোনি কিন্তু রান না পেলেও ধবনের উপর আস্থাটা হারায়নি। সেটা উচিতও। কারণ ওর মধ্যে একটা এক্স ফ্যাক্টর রয়েছে। যখন দলে এ রকম ম্যাচ উইনার থাকে তখন ক্যাপ্টেনের তাকে কিছুটা ছাড় দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। তা ছাড়া সে দিন ওপেনিংয়ে ধবনের ইনিংসটার আর একটা বড় দিক হল ওকে দেখেই দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসটা ছড়িয়ে গিয়েছিল।

যেমন ভাবা হয়েছিল বিরাট কোহলি ঠিক তেমনই দুরন্ত খেলল। অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে বিরাটের ফর্ম নিয়ে আমি অন্তত চিন্তার কিছু দেখিনি। মনে হয় টেস্ট সিরিজে প্রায় একার হাতে অস্ট্রেলিয়ানদের বিরুদ্ধে লড়াই করার পর ও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। পরিষ্কার বোঝা গিয়েছিল ওর ফর্মে ফিরতে গেলে কিছু দিন বিশ্রাম চাই।

Advertisement

রবিবার কিন্তু ওকে দেখে ঠিক সেটাই বোঝা গেল। এমন এক ব্যাটসম্যান যার ২২টা ওয়ান ডে সেঞ্চুরি আছে। সুরেশ রায়নাকে হিট করার গুরুদায়িত্বটা দিয়ে ইনিংসের মেরুদণ্ড ধরে রেখেছিল বিরাট। রায়নার ইনিংসটাও পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচটা বার করে নিয়েছিল। ভারতের ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং বিপর্যয় বাদ দিলেও যে রানটা ওদের হবে মনে হয়েছিল রায়নার ৭৪-এ তার থেকে ২০ রানে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত।

ভারতের সে দিন আর একটা বড় প্লাস পয়েন্ট বোলিং। বিশেষ করে মোহিত শর্মার। ওর নিয়ন্ত্রণ আর বারবার গতি বদলে বোলিংটা চমকে দিয়েছে। তার সঙ্গে উমেশ যাদব আর মহম্মদ শামি মিলে বেশ কিছু দিন পরে ভারতের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স তুলে ধরল। পাকিস্তানকে বুঝতে হবে এখনও প্রচুর ক্রিকেট বাকি রয়েছে টুর্নামেন্টে। এবং ওদেরও কিন্তু এই ম্যাচ থেকে কিছু প্রাপ্তি রয়েছে। তা ছাড়া শাহিদ আফ্রিদি আর মিসবা-উল-হক যতক্ষণ ক্রিজে ছিল ম্যাচটা ওদের হাত থেকে বেরিয়ে যায়নি। পাকিস্তান টিমটা তরুণ। ছটফটানিও তাই হয়তো বেশি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার হেরে বসল আয়ারল্যান্ডের কাছে! দুঃখের কথা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটার যা অবস্থা অনেকেই কিন্তু এই ফলটা আন্দাজ করেছিল। দলটা যেন ছন্নছাড়া। জেসন হোল্ডার যার বয়স কিনা তেইশ তার তো নিজের খেলা নিয়েই এখন বেশি ভাবার কথা। তাই ওর উপর নেতৃত্বের চাপটা এখন কঠিন বোঝার মতো। যে দায়িত্বটা দেওয়া যেত ডারেন স্যামিকে। আর ঠিক এই পরিস্থিতির সুযোগই নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ওদেরও রান তাড়া করাটাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারল কোথায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ! যা অবস্থা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরও ছ’সপ্তাহ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বলে মনে হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন