সুব্রত পাল। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি ভারতের স্টার প্লেয়ার। ভাইচু ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে এক তালিকায় নাম নেওয়া হয় তাঁর। শুধু তাই নয় ভারতীয় গোলকিপিংয়ের এক সময়ের পথ প্রদর্শক সুব্রত পাল। ভারতের গোলকিপিংয়ের স্পাইডারম্যানকে হঠাৎই সম্মুখিন হতে হয়েছে এক ভয়ঙ্কর সত্যির। সকাল থেকে তাঁর মন্তব্য না পাওয়া গেলেও পরে তিনি জানান তাঁর ভাবমূর্তি ফেরাতে তিনি যা করার সেটা করবেন। ডোপ টেস্টে অসফল হওয়ার খবর তাঁকে এতটাই বিচলিত করেছিল যে স্বাভাবিক হতে অনেকটাই সময় লেগে গিয়েছে। সুব্রত বলেন, ‘‘আমি ‘বি’ স্যাম্পেল পরীক্ষার জন্য আবেদন জানাব। আমার নিজের উপর বিশ্বাস রয়েছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। ডোপ টেস্টে ফেল করার মতোও কিছু করিনি। সেই সময় সব প্লেয়ারেরই পরীক্ষা হয়েছিল। আমি কখনওই ভাবিনি আমারটা পজিটিভ আসবে।’’
আরও খবর: ডোপ টেস্টে ধরা পড়লেন ভারতীয় ফুটবলের সেরা গোলকিপার সুব্রত পাল
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সুব্রত পাল জানিয়েছেন তাঁর পরবর্তি পদক্ষেপের কথা। তিনি বলেন, ‘‘এই খবর শোনার পর থেকে আমি স্তম্ভিত আমি ডোপ টেস্টে পাস করতে পারিনি। আমি নাডা বা ফেডারেশনের তরফে এখনও কোনও বার্তা পাইনি। আমি সবটাই জেনেছি সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে। আমার ১০ বছরের ফুটবল জীবনে আমি সব সময় সততার সঙ্গে খেলেছি।’’ গত ১৮ মার্চ মুম্বইয়ে নাডার তরফে র্যান্ডম ডোপ টেস্ট করা হয়েছিল। তারই ফল আজ জানা গিয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে সুব্রত পালের নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগ রয়েছে।
সুব্রত অবশ্য পরবর্তি পদক্ষেপের জন্য তৈরি হচ্ছেন। কথাও বলবেন ফেডারেশনের সঙ্গে। বলেন, ‘‘ফেডারেশনের কর্তা থেকে আমার সতীর্থরা এমন কী সমর্থক ও সংবাদ মাধ্যমও জানে আমি কেমন। আমি দেশ ও ক্লাবের হয়ে অনেক সাফল্য পেয়েছি। আমি এমন কিছু ব্যবহার করিনি যেটা নিষিদ্ধ। আমার একটা নাম আছে যেটা এখন সমস্যায়। সেটা থেকে আমার নিজেকে মুক্ত করতে হবে। যে কারণে আমি ‘বি’ স্যাম্পেল পরীক্ষার জন্য যাব। নাডার তরফে আমি যে চিঠি পেয়েছি তাতে নির্বাসন বাধ্যতামূলক লেখা নেই। আমি খেলা চালিয়ে যেতে পারি। নাডা আমার কাছে জানতে চেয়েছে কী ভাবে আমার শরীরে ওই নিষিদ্ধ ড্রাগ এল।’’ যদিও ফেডারেশনকে নাডা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সাময়িকভাবে নির্বাসিত করা হচ্ছে সুব্রত পালকে। ও ‘বি’ স্যাম্পেল পরীক্ষার পাশাপাশি নির্বাসন তুলে নেওয়ার আবেদনও জানাতে পারেন।