প্রশ্ন: ইমরান তাহিরের সঙ্গে আপনার পার্টনারশিপ কেমন জমছে? দুই লেগস্পিনারের মধ্যে কোনও রেষারেষি নেই?
অমিত: আমাদের জুটিটা অন্য রকম। দু’জনেই উইকেট শিকারি। উইকেট পেতে আলাদা স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করি। আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক কথা আলোচনা চলে। দলের জন্য সেটা ভালই। কোনও রেষারেষি নেই। আলাদা আলাদা ব্যাটসম্যানকে আউট করা, টিমের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আমাদের সুস্থ আলোচনা হয়।
প্র: টিমে একই রকমের বোলার থাকলে অনেক সময় দায়িত্ব বদলে যায়। আপনার কখন বল করা প্রিয়? পাওয়ারপ্লে, মাঝের ওভারে না ডেথে?
অমিত: এটা পুরোপুরি টিম ম্যানেজমেন্ট আর স্ট্র্যাটেজির উপর নিভর্র করে। ক্যাপ্টেনের ভূমিকাটাই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিজে কেমন ব্যাটসম্যান আছে, ফিল্ডিং কেমন সাজাতে হবে, কেমন বোলিং চাইছে। তবে টি-টোয়েন্টিতে পরিস্থিতি দ্রুত বদলায়। তাই নিজের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে পরিষ্কার থাকাটা বড় ব্যাপার। যাতে বোলারাও পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। তা সে রান আটকানো হোক বা উইকেট তোলা।
প্র: ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট দিল্লির। টেবলে চার নম্বরের জায়গাটা পেতে এখন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সুযোগ আছে আপনাদের?
অমিত: প্রায় প্রত্যেক মরসুমেই তো এ রকম পরিস্থিতি থাকে। শেষ দু’সপ্তাহে নকআউটে জায়গা পেতে ৩-৪টে দল লড়াইয়ে থাকে। গত বারের তুলনায় আমরা এ বার উঠে দাঁড়িয়েছি। তবে এটা ঠিক খুব ভাল খেলতে পারিনি।