East Bengal

‘ইস্ট-মোহন ভারতীয় ফুটবলের স্তম্ভ’

ফুটবলপ্রেমী জনতার এই উদ্দীপনার সাক্ষী থাকলেন খোদ আই লিগ সিইও সুনন্দ ধর। ম্যাচ শেষে ডার্বির উত্তাপের কথাই ধরা পরল সুনন্দের গলায়।

Advertisement

কৌশিক চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:২২
Share:

আই লিগ সিইও সুনন্দ ধর। ছবি: টুইটার।

গ্ল্যামার এবং লাইমলাইটের টানে দেশ-বিদেশের তারকা ফুটবলাররা বেছে নিয়েছেন আইএসএলকে। কিন্তু তিন পেরিয়ে চার বছরে পড়তেই উধাও আইএসএলের ক্রেজ। জনপ্রিয়তাতেও পড়েছে ভাটা। তার তুলনায় অনেক কম বাজেটের আই লিগ এখনও পর্যন্ত সুপার-ডুপার হিট। যার প্রমাণ মিলল রবিবারের যুবভারতীতে।

Advertisement

রবিবাসরীয় ডার্বিতে দেশের ফুটবলপ্রেমী জনতা বুঝিয়ে দিল ভারতীয় ফুটবলের মূল শক্তি লুকিয়ে আছে আই লিগেই, যার অন্যতম কাণ্ডারী ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। এ দিন ঘটি-বাঙালের লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে গ্যালারিতে ভিড় জমিয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৩৬০ জন সমর্থক। শুধু বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই নয়, শীতের দুপুরে ডার্বির আঁচে গা সেঁকতে গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু থেকেও উড়ে এসেছিলেন দুই দলেরই অসংখ্য সমর্থক।

ফুটবলপ্রেমী জনতার এই উদ্দীপনার সাক্ষী থাকলেন খোদ আই লিগ সিইও সুনন্দ ধর। ম্যাচ শেষে ডার্বির উত্তাপের কথাই ধরা পড়ল সুনন্দের গলায়। তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান এমন দুই দল, এরা দেশের যেখানেই খেলবে সেখানেই গ্যালারি ভর্তি হবে। দু’টি ঐতিহ্যশালী দল ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম স্তম্ভ।”

Advertisement

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের মুখে বাঙালি আবেগ, খালিদ নিলেন হারের দায়

আরও পড়ুন: শিল্টনের সেভ, কিংসলের গোলে ডার্বি জয় মোহনবাগানের

ইস্ট-মোহনকে আইএসএলে সুযোগ না দেওয়ায় এমনিতেই কলকাতায় ফিকে আইএসএল। কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে এটিকে। জাঁকজমক ভাবে ম্যাচ আয়োজন করেও গ্যালারি ভর্তি করতে ব্যর্থ সঞ্জীব গোয়েন্‌কা অ্যান্ড কোম্পানি। এরই মধ্যে আই লিগের ডার্বি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ভারতীয় ফুটবলে ইস্ট-মোহনই শেষ কথা। ম্যাচ শেষে পরক্ষে সে কথা মেনেও নিলেন সুনন্দ ধর। আই লিগ সিইও-র কথায়, “এটিকের গ্যালারি না ভরার অন্যতম কারণ অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। বাংলার ঘরে ঘরে ছেলে-মেয়েরা ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান— কোনও না কোনও দলের সমর্থক। আর এই কারণেই গ্যালারি ভর্তি করতে ব্যর্থ এটিকে।” কলকাতার বাইরেও আইএসএলের জৌলুস যে বেশ খানিকটা কমেছে তা-ও এ দিন মেনে নেন তিনি।

কথায় কথায় উঠে আসে আগামী মরসুমে আই লিগ এবং আইএসএল মিলে যাওয়ার প্রসঙ্গও। তবে প্রতি বারের মতো এই বারেও দেশের ফুটবলপ্রেমীদের আশার কথা শোনাতে পারলেন না সুনন্দ ধর। তিনি বলেন, “চেষ্টা চলছে যাতে আগামী মরসুমে দুই লিগকে মিলিয়ে দেওয়া যায়। দু’টি ভিন্ন লিগ দেশের ফুটবলের ক্ষেত্রেও খারাপ। ফিফা, এএফসি, এআইএফএফ—সকলেই চায় একটা লিগই হোক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন