সুনীল গাওস্কর। -ফাইল চিত্র।
শুরু মঙ্গলবার থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতে বোমা ফাটিয়েছিলেন বিরাট কোহালি। স্টিভি স্মিথের অনৈতিক ডিআরএস পদ্ধতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এর পরই সরব হয় দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। সকলেই চেয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কমিটি (আইসিসি) এই ঘটনায় বড় ভূমিকা নেবে। ভারতের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একসঙ্গে এই দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আইসিসির ভূমিকায় রীতিমতো বিরক্ত স্বয়ং সুনীল গাওস্কর। বলেন, ‘‘এটা ঠিক হল না। কারও পক্ষে কারও বিপক্ষে হওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। যদি কোনও ভারতীয় প্লেয়ার এটা করে, তা হলে একই ভূমিকা নিতে হবে আইসিসিকে।’’ বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার কাছে সকলের জন্য সমান ব্যবহারই আশা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সঙ্গে ধারাবাহিকতা। বলেন, ‘‘আমি দেখতে চাই বিরাট কোহালিও এমনটা করুক। আউট দেওয়ার পর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে কিছু জানুক। তার পর দেখব ম্যাচ রেফারি ও আইসিসি কী সিদ্ধান্ত নেয়।’’ এই কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে কতটা বিরক্ত সানি।
আরও খবর: আমি সবসময় বিশ্বের সেরা হতে চেয়েছি: বিরাট
ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ আউট হওয়ার পর তাঁদের ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে ইশারায় কিছু জানতে চান। এবং ওখান থেকে কিছু ইঙ্গিত আসার পর তিনি ডিআরএস-এর দাবি করেন। যেটা দেখে মাঠের মধ্যেই প্রতিবাদ করেন বিরাট কোহালি। আম্পায়ার ডিআরএস-এর আবেদন গ্রহন করেননি। এবং ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটিই ধরা পরে। তার পর সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাট স্মিথের এই অনৈতিক কাজের কথা বলেন। এবং তিনি এও জানান এটাই প্রথম নয়, এই ম্যাচে এর আগেও দু’বার একই ঘটনা দেখেছেন তিনি। সেই দু’বারের ঘটনা তিনি ম্যাচ রেফারিকেও জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বুধবার জড়িয়ে পরে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি-র ভূমিকা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল সকলেই। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে কোনও পক্ষকেই কিছু কড়া বার্তা দেওয়ার পথে যায়নি আইসিসি। বরং পরের ম্যাচে মনেনিবেশ করার উপদেশ দিয়েই কাজ সেরেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। যেটা মেনে নিতে পারছেন না ভারতের প্রাক্তন না।