উৎসবের শহরে তাতছে ডার্বির মেজাজ

গাড়িতে একসঙ্গেই, গ্যালারিতে যুযুধান

মাঠে তাঁরা বসবেন দুই আলাদা গ্যালারিতে। গলা ফাটাবেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে। কিন্তু যাওয়ার আগে তাঁরা একজোট। ডার্বি দেখতে শিলিগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের উদ্দেশে এক গাড়িতে সওয়ার হচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকেরা।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪০
Share:

মাঠে তাঁরা বসবেন দুই আলাদা গ্যালারিতে। গলা ফাটাবেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে। কিন্তু যাওয়ার আগে তাঁরা একজোট। ডার্বি দেখতে শিলিগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের উদ্দেশে এক গাড়িতে সওয়ার হচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকেরা। ম্যাচ দেখে এক সঙ্গেই আবার ফিরবেন সবাই। প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। কেনা হয়েছে দু’দলের পতাকা। তৈরি করা হয়েছে প্ল্যাকার্ডও।

Advertisement

রবিবার সকালে তাঁরা একসঙ্গে বাঙালির সেরা ফুটবল-লড়াই দেখতে কোচবিহার থেকে রওনা হবেন। ওই দলের সদস্য সুশান্ত গোপ বলেন, “আমরা ছ’জন একসঙ্গে রবিবার শিলিগুড়ি যাব। ৩ জন ইস্টবেঙ্গলের, বাকি ৩ জন মোহনবাগানের সমর্থক। আমি নিজেও মোহনবাগানের সমর্থকদের একজন। তর্ক-আড্ডায় দারুণ জমবে এতটা পথ একসঙ্গে যাওয়া।” ওই দলেরই সদস্য দেবব্রত হোড় বলেন, “গাড়িতে একসঙ্গে যাচ্ছি। গ্যালারিতে কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ছাড়া কিচ্ছু চিনি না।’’ দুই শিবিরের সমর্থকদের বক্তব্য, ওই দলে সামিল সকলেই পরিচিত, বন্ধু। সেই সূত্রেই ‘ডার্বি’ ম্যাচ দেখতে যাওয়া নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত। একসঙ্গে গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয় তখনই। সুশান্তবাবু, দেবব্রতবাবুরা বলছেন, ‘‘খেলায় কে কোন দলকে সমর্থন করবেন সেটা নিছক তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। বন্ধুত্ব অনেক বড়।’’

শুধু ওই দলটিই নয় রবিবার কোচবিহার সদর মহকুমা ছাড়াও তুফানগঞ্জ, দিনহাটা , মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ মহকুমা থেকেও কয়েকশো সমর্থক শিলিগুড়ি যাচ্ছেন। অনেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। অনেকে আবার পরিচিতদের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে টিকিট কেটেছেন। কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে, অগ্রিম যোগাযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি থেকে সংস্থার উদ্যোগে শুক্রবার রাতে ৯৫টি টিকিট আনা হয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে ওই সব টিকিট বিলি শুরু হয়। তারপরেও আগ্রহীদের অনেকে নতুন করে টিকিটের জন্য দরবার শুরু করেছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বিষ্ণুব্রত বর্মন বলেন, “শেষ মুহূর্তে অনেকে টিকিটের জন্য যোগাযোগ করছেন। দেখা যাক কী দাঁড়ায়।”

Advertisement

কোচবিহার ছাড়াও আলিপুরদুয়ার ও নিম্ন অসমের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও ডার্বি নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। কিন্তু প্রায় ১৫০ কিমি দূরত্ব বলে অনেকেই শিলিগুড়ি যেতে পারছেন না। দিনহাটা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বিভুরঞ্জন সাহা তাই দাবি তুলেছেন, “শিলিগুড়ির পাশাপাশি কোচবিহারের মত উত্তরের অন্যত্রও ডার্বি ম্যাচের আসর বসানোর ব্যবস্থা হলে ভাল হয়। যারা দূরত্বের জন্য যেতে পারছেন না তারাও ম্যাচ দেখার সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া এতে ফুটবল নিয়ে আগ্রহও বাড়বে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন