অধিনায়ক নিয়ে অস্ট্রেলীয় গৃহযুদ্ধ

সাম্প্রতিকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটমহলের সবচেয়ে বড় বিবাদ যদি হয়ে থাকে শেন ওয়ার্ন বনাম স্টিভ ওয়, তা হলে টাটকা বিতর্কের বিষয়বস্তুও উঠে এল ব্যাগি গ্রিনের দেশে। ফের লেগে গেল দুই প্রাক্তন অস্ট্রেলীয়র মধ্যে। ডারেন লেম্যান এবং মাইকেল ক্লার্কের মধ্যে। এবং বিবাদের কেন্দ্রে রয়েছেন আরও এক অস্ট্রেলীয়— স্টিভ স্মিথ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ০৩:১৩
Share:

বিতর্কের কেন্দ্রে স্মিথ।

সাম্প্রতিকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটমহলের সবচেয়ে বড় বিবাদ যদি হয়ে থাকে শেন ওয়ার্ন বনাম স্টিভ ওয়, তা হলে টাটকা বিতর্কের বিষয়বস্তুও উঠে এল ব্যাগি গ্রিনের দেশে। ফের লেগে গেল দুই প্রাক্তন অস্ট্রেলীয়র মধ্যে। ডারেন লেম্যান এবং মাইকেল ক্লার্কের মধ্যে। এবং বিবাদের কেন্দ্রে রয়েছেন আরও এক অস্ট্রেলীয়— স্টিভ স্মিথ।

Advertisement

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বিশ্রী ভাবে হেরে বসে স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। তিন টেস্টের একটাও তারা জিততে পারেনি। উল্টে উপমহাদেশে লজ্জার একাধিক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে অস্ট্রেলিয়া। যার পর স্মিথের অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

তার পর ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হয়। আজ, রবিবার তৃতীয় ওয়ান ডে-র আগে সিরিজ ১-১। এই অবস্থায় ম্যাচের আগে হঠাৎই বাড়ি ফিরে যান স্মিথ। ডেভিড ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিয়ে। এখানেই বিতর্ক শুরু।

Advertisement

সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮২ রানের ব্যবধানে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। এবং তার পরই বাড়ি ফিরে যান স্মিথ। সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হয়, তিনি বিশ্রাম নিতে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। বাকি তিনটে ওয়ান ডে এবং পরে দুটো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন সহ অধিনায়ক ওয়ার্নার। সেপ্টেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে অধিনায়কত্বে ফিরবেন স্মিথ।

যা নিয়ে মাইকেল ক্লার্কের মন্তব্য, ‘‘দেখে ভাল লাগত যদি আমাদের ক্যাপ্টেন সিরিজের শেষ পর্যন্ত খেলে সিরিজটা জিতত। তার পর বিশ্রাম নিত।’’ এখানেই থেমে থাকেননি ক্লার্ক। আরও যোগ করেছেন, ‘‘আর স্মিথির যদি বিশ্রামই দরকার হত, তা হলে টেস্ট সিরিজটা শেষ হওয়ার পরপর কেন দেশে ফিরে গেল না? দুটো ওয়ান ডে খেলার পর কেন ওর বিশ্রামের দরকার হল?’’

সাতাশ বছরের স্মিথের পাশে দাঁড়িয়ে ক্লার্ককে একহাত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ লেম্যান। তিনি বলে দিয়েছেন, ‘‘দেশের অধিনায়ক হওয়া সত্যিই খুব বড় দায়িত্ব। আমরা চাই স্মিথ যাতে ফ্রেশ থাকে। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ আছে। আরও অনেক ক্রিকেট আছে। সেগুলোর জন্য ওকে তরতাজা রাখা খুব জরুরি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এটা আমরা অনেক দিন ধরেই ঠিক করে রেখেছিলাম। স্মিথ নিজে নিজে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্তটা নেয়নি। ওকে অনেক বোঝাতে হয়েছে। তার পর ও রাজি হয়েছে। কোচ আর নির্বাচকদের তো এটা দেখতে হবে যাতে দেশের হয়ে ও সুস্থ থাকে, সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়ার জায়গায় থাকে।’’

ক্লার্কের সঙ্গে একমত হয়ে স্মিথের দেশে ফেরার সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন ওপেনার মাইকেল স্লেটারও। লেম্যান যদিও বলছেন, প্রাক্তনদের বক্তব্য নিয়ে তাঁর কোনও অসুবিধে নেই। ‘‘আমরা আমাদের প্রাক্তনদের সম্মান করি। তাঁদের নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে স্মিথকে ঠিকঠাক রাখাটা খুব দরকার। যাতে ও পুরো শক্তি নিয়ে ফিরতে পারে। তিনটে ফর্ম্যাটে অধিনায়কত্ব করা খুব কঠিন। তাই ওর বিশ্রাম দরকার,’’ বলেছেন লেম্যান।

সিরিজে এটা যদি বাড়তি অস্ট্রেলীয় আকর্ষণ হয়, তা হলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ভক্তদের চোখেও এখন তা বাড়তি মাত্রা পাচ্ছে। দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম বড় ক্রিকেট তারকা তিলকরত্নে দিলশান জানিয়ে দিয়েছেন, ডাম্বুলায় তৃতীয় ম্যাচই তাঁর শেষ ওয়ান ডে। ৩৯ বছরের দিলশান ওয়ান ডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের মালিকদের তালিকায় এগারো নম্বরে রয়েছেন। ডাম্বুলায় কেরিয়ারের ৩৩০তম ওয়ান ডে খেলতে নামবেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন