ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুকের উইকেট নেওয়ার পর জাদেজার উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি।
বার বার আঙুল উঠছে তাঁরই দিকে। আসলে তাঁকে ঘিরেই সব প্রত্যাশা। বিশ্বের এক নম্বর বোলার তিনি। নিউজিল্যান্ডকে একাই চমকে দিয়েছিলেন টেস্ট সিরিজে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই অশ্বিনকে পাওয়া যায়নি প্রথম ইনিংসে। জোড়া উইকেট এসেছে। কিন্তু বল হাতে চমক দেখাতে পারেননি তিনি। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও সতীর্থর মতোই পাশে দাঁড়িয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁর ঝুলিতে এসেছে তিন উইকেট। প্রথম ইনিংসে তিন জনের ব্যাট থেকে এসেছে সেঞ্চুরি। যেটা একদিন থেকে বোলারদেরই ব্যর্থতা। এটা মেনে নিয়েই জাদেজা বলেন, ‘‘আমাদের পাঁচজন বোলার রয়েছে। আর পাঁচজনেরই সমান দায়িত্ব উইকেট নেওয়ার। শুধু অশ্বিনের নয়। মাঝে মাঝে সুযোগ আসে না। এটা খেলার অংশ। এর জন্য সবাই সমানভাবে দায়ী।’’
তিনিই এই ইনিংসের সব থেকে সফল বোলার। ৮৬ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। বল করেছেন ৩০ ওভার। কিন্তু দ্বিতীয় দিন মাত্র ন’ওভারই বল করার সুযোগ পেয়েছেন। যদিও এই নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত বলেই এড়িয়ে গিয়েছেন। বলেন, ‘‘সবটাই অধিনায়কের সিদ্ধান্ত। নিশ্চই কোনও কারণ রয়েছে দলের কথা ভেবে। আমার মনে হয় না অশ্বিন আর মিশ্রাকে বেশি করানোটা কোনও পূর্ব পরিকল্পনা।’’
যেভাবে ভারতের ক্যাচ ফেলা নিয়ে কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের মঈন আলি ঠিক সে ভাবেই নিজেদের ক্যাচ ফেলাটাও যে এই বড় রানের কারণ সেটা বুঝেছেন জাদেজা। ‘‘বেন স্টোকসের ক্যাচ পর পর দু’বার ফেলেছে। যদিও ও ভাল খেলেছে। উমেশের বলে কিছুটা চাপে ছিল। ক্যাচ ফেলার পর থেকেই খুলে খেলতে শুরু করে। আর সেঞ্চুরি করে। ক্রিকেটে এমনটা হয়।’’
শুধু ক্যাচ ফেলা নয় টস হারাটাও সমস্যায় ফেলেছে দলকে। ‘‘আমার মনে টসটাই অনেক বড় কারণ। কারণ রাজকোটের উইকেট প্রথম দু’দিন ব্যাটিং সহায়ক। এটা সকলেই জানে। এর পর স্পিন বোলিং কাজ করতে শুরু করে। খেলা চলতে থাকলে পিচ ক্রমশ মন্থর হয়ে যায়। প্রথম দু’দিন ফার্স্ট বোলাররা সফল হলেও বাকি দু’দিন উইকেট স্লো হবে।’’
আরও খবর
‘ভারতের ক্যাচ ফেলা আমাদের কাজে লেগেছে’